বাংলাহান্ট ডেস্ক : শারীরিক সমস্যার কারণে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে। তবে সেখানে গিয়ে যে ভাগ্যের চাকা এভাবে ঘুরে যাবে তা ভাবতেই পারেননি এই মাছ ব্যবসায়ী। লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি তিনি হয়ে গেলেন কোটিপতি। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা অশোক মহালদার একজন মাছ ব্যবসায়ী।
৩৭ বছর বয়সী অশোক মাছ বিক্রি করেন বাজারে। স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে দারিদ্রতায় ভরা সংসার। অর্থাভাব সংসারের নিত্য সঙ্গী। দারিদ্রতা দূর হওয়ার আশায় মাঝেমধ্যেই লটারি কাটতেন অশোক। তবে লটারিতে পুরস্কার সেভাবে কিছু পাননি। সম্প্রতি অশোকের শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়। চাঁচল সদরের একটি ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে যান শুক্রবার।
আরোও পড়ুন : SBI থেকে ৪০ লাখের হোম লোন! ১০ বছর ধরে কত টাকা EMI গুণতে হবে দেখুন
ফেরার সময় ৩০ টাকা দিয়ে অশোক লটারির টিকিট কেনেন। অশোক মহালদার বলছেন, ‘মাঝে মাঝে টিকিট কাটতাম। ৩০ টাকার লটারি কেটেছিলাম। ফলাফল মিলিয়ে দেখি আমি এক কোটি টাকা জিতেছি। খুব ভালো লাগছে।এবার ছেলে মেয়েদের ভালো ভাবে পড়াশোনা করাতে পারবো।’
শুক্রবার ‘ডিয়ার মর্নিং লটারি’তে একেবারে প্রথম পুরস্কার জিতে কোটিপতি হয়ে গেলেন তিনি। অশোকের দাদার কথায়, “আমি তো মাঠে কাজ করছিলাম। আমার ছেলে এসে বলছে আমাকে ডাকছে বাড়িতে। ভাবলাম ভাইয়ের মনে হয় বেশি শরীর খারাপ হয়েছে। কিন্তু গিয়ে দেখি এই খুশির খবর। আমরা সকলে খুব আনন্দিত।”