বাংলা হান্ট ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) ভ্রমণের পর থেকেই উত্তাল হয়ে রয়েছে জাতীয় রাজনীতি। ইতিমধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রকে বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারতীয় পর্যটকরা। যদিও মালদ্বীপ (Maldives) প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) এসবে পাত্তা দিতে বিশেষ রাজি নন। তিনি তার সিদ্ধান্তেই অনড়। চিন (China) সফর থেকে ফিরেই ভারতীয় সেনা সরানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি। আর এবার খাদ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত বিষয়েও নয়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সে দেশের সরকার।
শোনা যাচ্ছে, খাদ্য এবং ওষুধের জোগানের জন্য কোনও একটি নির্দিষ্ট দেশের উপর ভরসা করতে রাজি নয় মালদ্বীপ সরকার। এবার থেকে আলাদা আলাদা দেশ থেকে খাদ্য ও ওষুধ সংগ্রহ করতে চাইছে মুইজ্জু। যদিও কোন দেশ থেকে আমদানি বন্ধ করতে চলেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে কূটনীতিকদের ধারণা, মুইজ্জু সরকার নিশানা করেছে ভারতকেই।
উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত খাদ্য সামগ্রী এবং ওষুধ সংক্রান্ত সরঞ্জামের বিষয়ে ভারতের উপরেই নির্ভরশীল ছিল মালদ্বীপ। সাল ২০১৮ তে প্রায় ১১ হাজার ৬ শত ৩১ কোটি টাকার সাহায্য পাঠিয়েছিল ভারত সরকার। মালদ্বীপের সবচেয়ে বড় ক্যান্সার হাসপাতাল ভারতেরই তৈরি। কোভিড আবহে দ্বীপরাষ্ট্রে টিকাও সরবরাহ করেছিল ভারত। আর এবার সেই ভারতের সাথেই ক্রমাগত বৈরিতা বৃদ্ধি করে চলেছে মুইজ্জু সরকার।
আরও পড়ুন : ভারত মালদ্বীপ তিক্ততা তুঙ্গে! ‘আমি গ্যারান্টি দিতে পারিনা’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন জয়শংকর?
যদিও কূটনীতিকদের মতে, মাল যদি এরকম কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে নিজের দেশের লোকই বিরোধীতা করবে। কারণ বিভিন্ন জায়গা থেকে খাদ্য ও ওষুধ আমদানি করতে গেলে ক্রমাগত খরচ বাড়বে এবং এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা চূড়ান্ত। এমনিই বিরোধীরা মুইজ্জুর সমালোচনায় মুখর হয়ে আছে। এখন জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেলে ফের একবার সমালোচনার মুখে পড়তে হবে নয়া রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুকে।
আরও পড়ুন : তিন দশক আগেই করেছিলেন রাম মন্দিরের ভবিষ্যদ্বাণী, কে এই দেবরাহ বাবা? জানুন তাঁর অলৌকিক কাহিনী
ইতিমধ্যেই মালদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে মুইজ্জুর পিপল্স ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)। তার নিজের গড়েই প্রায় ৫ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছে তার দলীয় প্রার্থী। ওদিকে জয়লাভ করেছে ভারতঘেঁষা বিরোধী দলের নেতা। মালের মেয়র পদে বহাল হয়েছেন অ্যাডাম আজিম। তিনি মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) নেতা। উল্লেখ্য, এর আগে দীর্ঘদিন এই পদে বহাল ছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু।