বাংলাহান্ট ডেস্কঃ স্ট্র্যান্ড রোডে অগ্নিকাণ্ডে (Strand Road Fire) সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। সন্ধ্যে ৬ টা বেজে ১০ মিনিটে সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন অফিসের ১৩ তলায় আগুন লাগার খবরে সেখানে পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তা থেকে শুরু করে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, ফিরহাদ হাকিম সেখানে উপস্থিত হন।
আগুন নেভাতে গিয়ে ঘটে যায় আরও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লিফটে করে উপরে যেতে গিয়েই সেখানে আগুনে ঝলসে প্রাণ হারান প্রায় ৯ জন। জানা গিয়েছে, তাদের মধ্যে ৪ জন দমকলকর্মী, ১ জন পুলিশে ASI এবং ১ জন RPF কর্মীও। ফোন মারফত খবরাখবর নেওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থলে পৌছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
রেলের অফিসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও, রেলের তরফ থেকে কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন মমতা ব্যানার্জি। তাঁর কথায়, ‘রেলের পক্ষ থেকে কেউ তো আসেননি। উল্টে একটা ম্যাপ চাওয়া হলেও, কোনরকম সহযোগিতা করা হয়নি। এখানে কোন রাজনৈতিক ইস্যু টানছি না। তবে এটা যেহেতু রেলের জায়গা, তাই তাদের কেউ এসেছেন কিনা খোঁজ নিচ্ছিলাম’।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই অগ্নিকান্ডে যারা আগুন নেভানোর জন্য এসেছিলেন, তাদের, মধ্যে ৯ জন মারা গিয়েছেন। এটা খুবই বেদনা দায়ক ঘটনা। এর মধ্যে আবার অনেককেই শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই তাদের নামও বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ করে টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হবে এবং পরিবারের একজনকে সরকারী চাকরীও দেওয়া হবে’। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন- দমকল আধিকারিক গিরিশ দে ও তিন দমকল কর্মী গৌরব বেজ, অনিরুদ্ধ জানা, বিমান পুরকায়েত, রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থসারথি মণ্ডল, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী আরপিএফ কনস্টেবল সঞ্জয় সাহানি, রেল কর্মী সারান পান্ডে, হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই অমিত ভাওয়াল। বাকি একজনকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।