বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে এদিন ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বেলপাহাড়িতে (Belpahari) পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেলপাহাড়িতে একটি আদিবাসী গ্রামে সশরীরে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন তাঁকে দেখে একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দেন আদিবাসী মহিলারা। তবে এদিন এ সকল প্রশ্নের জবাবে উল্টে কেন্দ্রের দিকেই বল ঠেলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা নিয়ে ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি।
এদিন ঝাড়গ্রামে যাওয়ার সময় একটি আদিবাসী গ্রামে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। তবে বেলপাহাড়ির কুড়চিবুনি গ্রামে পৌঁছে যেতেই মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ক্ষোভ প্রদর্শন করে আদিবাসী মহিলারা।
উল্লেখ্য, এদিন বেলপাহাড়ির আদিবাসী গ্রামে পৌঁছে গিয়ে এক তিন মাসের শিশুকে আদরভরে কোলে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এরপরই একের পর এক প্রশ্ন উড়ে আসে তাঁর দিকে। এক বৃদ্ধা প্রশ্ন করেন, “ঘর পাইনি, কোথায় যাব?” এক্ষেত্রে বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কেন তা তৈরি হচ্ছে না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আবার অপর এক মহিলা পর্যাপ্ত জল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সকল প্রশ্নের জবাবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। একবার যদি কেন্দ্র টাকা দেয়, তাহলে পুনরায় কাজ শুরু হবে।” একইসঙ্গে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলার প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, এদিন কেন্দ্রের তরফ থেকে বকেয়া টাকা না মেলায় কেন্দ্র সরকারকে বেলাগাম আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “১০০ দিনের প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। এবার কি তাঁর পা ধরতে হবে?” একইসঙ্গে বাংলায় থেকে দিল্লিতে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়ার ‘ষড়যন্ত্র’-র অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।