বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাগরদিঘী উপনির্বাচনের (Sagardighi Bi-election) ফল সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসক দল। সাগরদীঘিতে হারের কারণ জানতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গড়েছিলেন কমিটি। এবার বদল করলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিকে। হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম এতদিন এই পদে ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পদে এবার আনলেন দলের যুব নেতা তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে।
উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও এই মোশারফ। সভাপতি পদ থেকে হাজি নুরুলকে সরানো হলেও তাকে ওই সেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এতদিন ছিলেন এই সেলের চেয়ারম্যানের পদে। গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান পদের বদলে দেওয়া হল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও মালদহের (Malda) সংগঠন দেখার দায়িত্ব।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানতে নারাজ যে তৃণমূলে সংখ্যালঘু ভোটে কোপ পড়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,”আমাদের সাথেই আছে সংখ্যালঘুরা, কমেনি সংখ্যালঘু ভোট। নিজেদের দুর্বলতার কারণে হার হয়েছে সাগরদীঘিতে।” কালীঘাটে নিজের বাড়িতে শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন।
পাশাপাশি এই বৈঠকে ছিলেন জেলার নেতারাও। এই বৈঠক থেকে সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু রদবদলের ঘোষণা করা হয়েছে। সব থেকে বড় রদবদল হয়েছে সংখ্যালঘু সেলে। পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদ ও মালদা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা। সিদ্দিকুল্লা পর্যবেক্ষণ চালাবেন এই দুই জেলায়। সিদ্দিকুল্লার সাথে সহযোগিতায় থাকবেন মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক।
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘীর ফল চিন্তা বাড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। ২ বছরের ব্যবধানে ৫০.৯৫ থেকে ৩৪.৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু সেলে বিশেষভাবে নজর দেন। সংখ্যালঘু মন জেতার আশায় তিনি সংখ্যালঘু নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি করেন বিশেষ কমিটি। এবার পরিবর্তন করলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলে।