বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওড়িশার বালেশ্বর দুর্ঘটনা দশ বছর পরেও ভুলতে পারেননি অনেকেই। ২০১৩ সালের সেই ট্রেন দুর্ঘটনায় অনেকেই তাদের প্রিয়জন কে হারিয়েছেন। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াল মমতা’র (Mamata Banerjee) সরকার। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৩ জন নিহতের পরিবার থেকে একজন করে সদস্য হোমগার্ড ভলান্টিয়ার (Home Guard Volunteer) হিসাবে নিযুক্ত হবেন।
রেল কারখানার জন্য ৪০ একর জমি, ১২৬ কোটির বিনিময়ে
এদিন বৈঠকে একইসঙ্গে রেলের কোচ তৈরির কারখানা সম্প্রসারণের জন্য জমি বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। টিটাগড় রেল সিস্টেমস লিমিটেড সংস্থাকে ৯৯ বছরের লিজ়ে ৪০.০৯ একর জমি দেওয়া হবে। দাম ধার্য হয়েছে ১২৬ কোটি টাকা। এই জমি উত্তরপাড়ার ৩৪ একর কারখানার একেবারে পাশে। ফলে আরও বড় পরিসরে কোচ তৈরির কাজ শুরু করা যাবে বলে প্রশাসনের দাবি।
মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে এদিনের মন্ত্রিসভা বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এতদিন কলকাতা পুর এলাকায় বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা অনুমোদনের দায়িত্বে ছিল সমাজকল্যাণ দফতর। এখন থেকে এই দায়িত্ব পালন করবেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার। ফলে এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ এবং সহজ হবে বলেই সরকারের যুক্তি।
নতুন নিয়মে উপভোক্তারা কতটা উপকৃত হবেন?
নবান্ন (Nabanna) সূত্রের দাবি, পুরসভা কমিশনারের হাতে এই দায়িত্ব এলে অনলাইন প্রসেসিং অনেক ত্বরান্বিত হবে। ভাতার জন্য আবেদন, যাচাই ও অনুমোদন, সব মিলিয়ে যে দীর্ঘসূত্রিতা ছিল, তা কাটবে বলে আশাবাদী প্রশাসন। সরাসরি পুরসভা থেকে বরাদ্দ আসার ফলে উপভোক্তারাও উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুনঃ ‘শাস্ত্র বিধি লঙ্ঘন, রথের রশিতে পা’, দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের ধ্বজা পুড়তেই বিস্ফোরক শুভেন্দু
তবে বিরোধীদের প্রশ্ন, এতদিন পর এই সিদ্ধান্ত কেন? দশ বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণে এখন হঠাৎ করে চাকরি ঘোষণা করলেই কি সব দায় মিটে যাবে? পাশাপাশি জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন, এটি কি সরকারি সম্পত্তি ব্যবহারের যথাযথ উদাহরণ, নাকি কোনও বেসরকারি সংস্থাকে সুযোগ করে দেওয়া?