বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর জি কর কাণ্ডের পর গোটা রাজ্য-রাজনীতির টালমাটাল অবস্থা। দেশ থেকে বিদেশ, উপযুক্ত দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে নাগরিক সমাজ। এই আবহে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে মঙ্গলবার পেশ করা হল ‘অপরাজিতা ওমেন অ্যান্ড চাইল্ড সংশোধনী বিল’।
বড়সড় আপডেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)
ধর্ষণের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রের পৃথক আইন রয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’য়। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইছে ধর্ষণের মামলায় আরো কঠিন শাস্তি। সেই উদ্দেশ্যেই আজ রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হয় এই বিল। ‘অপরাজিতা ওমেন অ্যান্ড চাইল্ড সংশোধনী বিল’ পেশের পর নতুন বিলে পরিবর্তনের ব্যাপারে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আরোও পড়ুন : Rudranil Ghosh: যাঁরা সন্দীপ ঘোষকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন তাঁদেরও গ্রেফতার করা হোক: রুদ্রনীল ঘোষ
বিধানসভায় আজ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, তিনটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় রয়েছে এই বিলে। ‘অপরাজিতা ওমেন অ্যান্ড চাইল্ড সংশোধনী বিল’ নিশ্চিত করবে বর্ধিত শাস্তি, দ্রুত তদন্ত ও দ্রুত ন্যায়বিচারের ক্ষেত্র। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘নতুন আইন সুনিশ্চিত করবে, যৌন নির্যাতনে কঠোরতম শাস্তি যাতে হয়। ন্যায় সংহিতায় শাস্তির কথা বলা আছে। তবে আমাদের আইনে তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
আরোও পড়ুন : শ্মশান থেকে আনা মালায় শুটিং! জানতে পেরেছিলেন উত্তম কুমার?
‘অপরাজিতা ওমেন অ্যান্ড চাইল্ড সংশোধনী বিল’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন-
• ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ক্ষেত্রে উল্লেখ রয়েছে ১০ থেকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের। যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে ক্ষেত্র বিশেষে। অপরাজিতা বিলে রয়েছে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও গুরুতর অপরাধ হলে মৃত্যুদণ্ড।
• যদি নির্যাতিতার মৃত্যু হয় তাহলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় শাস্তি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ক্ষেত্র বিশেষে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের। বাংলার নতুন এই বিলে ধর্ষকের শাস্তি হিসেবে রয়েছে প্রাণদণ্ড ও জরিমানা।
• অ্যাসিড আক্রমণের ক্ষেত্রে অপরাজিতা বিলে (Aparajita Bill) শাস্তি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে অপরাধীর আমৃত্যু কারাদণ্ড, ক্ষেত্র বিশেষে প্রাণদণ্ডের।