মমতা ব্যানার্জি (mamata benerjee) সরকার চালান পানিনি (panini) ও চানক্য নীতির (chanakya niti) অনুসরণে, সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বললেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার (kakali ghosh dastidar)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসননীতিকে ব্যাখ্যা করে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, গত দশ বছর ধরে রাজ্যের শাসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাণক্য ও পানিনির নীতির অনুসরণেই করেছেন।
ভারতের মাটিতে যে সব মহান ব্যক্তি জন্ম নিয়েছেন তাদের মধ্যে চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্যের প্রধানমন্ত্রী চাণক্য প্রাতঃস্মরণীয়। এখনো পর্যন্ত তার মত একাধারে রাজনীতি, কূটনীতি, যুদ্ধ বিশারদ ও অর্থনীতিবিদ মানুষ ভারতের মাটিতে জন্ম নেয় নি। চন্দ্রগুপ্তের মহামন্ত্রী হলেও তিনিই ছিলেন সাম্রাজ্যের আসল চালিকাশক্তি। চন্দ্রগুপ্তের সিংহাসন আরোহন থেকে শুরু করে নির্বিঘ্নে রাজ্য শাসন সমস্তই তারই উর্বর মস্তিষ্কের ফসল।
অন্যদিকে পানিনি ছিলেন প্রাচীন সংস্কৃত ফিলোলজিস্ট, ব্যাকরণবিদ এবং প্রাচীন ভারতের একজন শ্রদ্ধেয় পন্ডিত। উনিশ শতকে ইউরোপীয় পণ্ডিতদের দ্বারা তাঁর রচনা আবিষ্কার ও প্রকাশের পর থেকে তাঁকে “প্রথম বর্ণনামূলক ভাষাতাত্ত্বিক” হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে, এমনকি “ভাষাতত্ত্বের জনক” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিন কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, চাণক্য বলেছেন সুপ্রশাসক সব সময় সাধারণ মানুষের কথা ভাববেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১০ বছর ধরে সেটাই করেছেন। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, বিজেপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করতে চায়। তারজন্য তারা খুন, দাঙ্গা, গুন্ডামি করতে হলেও করবে।
পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ২০১৪ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য মোদির কোনো প্রকল্প নেই। গত ৪৫ বছরে ভারতের অবস্থা এত খারাপ হয়নি। বেকারত্বের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে মমতা সরকারের আমলে ৪৩ শতাংশ কর্ম সংস্থান বলেও দাবি তার।
পাশাপাশি পাণিনি যে আঞ্চলিক, নিম্নবর্গের মানুষের ভাষা ও উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই নীতিই অবলম্বন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দাবি করলেন কাকলি। সাঁওতালি ও রাজবংশীদের জন্য অনেক কাজ করেছেন মমতা। রাজবংশী ভাষায় কলেজ করেছেন, পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অলচিকি ভাষাও।