বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যে এবার বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ। যার ঘোষণা করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মূলত, রাজ্যে লক্ষাধিক মানুষের চাকরি হবে বলে গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি বিপুল বিনিয়োগের প্রসঙ্গও এসেছে সামনে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিষয়ে সম্পন্ন হয় রিভিউ মিটিং। পাশাপাশি, উঠে আসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
বিরাট সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee):
জানা গিয়েছে, ওই লেদার কমপ্লেক্সটি বিবেচিত হবে “কর্ম দিগন্ত” নামে। যেটির নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এমতাবস্থায়, এক্ষেত্রে ঠিক কতটা বিনিয়োগ হয়েছে এবং আগামী দিনে কত বিনিয়োগ আসতে চলেছে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ওই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা উপস্থিত থাকার পাশাপাশি সেখানে ছিলেন মন্ত্রী এবং সচিবরাও।
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বর্তমানে ৫০০ টি ট্যানারি ১,১৫০ একর জমির ওপর রয়েছে। এদিকে, সেখানে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পাশাপাশি ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, সেখানে আরও ১৮৭ টি ট্যানারি ও ১৩৯ টি ফুট ওয়্যার সংস্থা এবার আসছে বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে আরও ২.৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: খরচ হবে ৭০ হাজার কোটি! ভারতেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ, থরথর করে কাঁপবে শত্রুদেশ
বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী স্পষ্ট হয়েছে যে সেখানে আরও প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এমতাবস্থায় সামগ্রিকভাবে, কর্মসংস্থানের সংখ্যা পৌঁছে যাবে ৭.৫ লক্ষে। এদিকে, আরও জানানো হয়েছে যে, পরিকাঠামো তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। জমি নেওয়ার ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকা। এছাড়াও, ২৮ মেগা গ্যালন পানীয় জল প্রকল্পের জন্য বিনিয়োগ করা হয়েছে ৪৭৫ কোটি টাকা। যার ফলে সামগ্রিকভাবে ওই কমপ্লেক্স ছাড়াও আশেপাশের স্থানীয় মানুষরা উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন: আর নয় জল্পনা! বিচ্ছেদের পথেই হাঁটলেন হার্দিক-নাতাশা, কার কাছে থাকবে পুত্র অগস্ত্য?
এর পাশাপাশি, আলিপুর জেল মিউজিয়াম চত্বরে একটি লেদার মল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এটি তৈরি করা হবে হিডকোর তরফে। ওই লেদার মলে লেদার কমপ্লেক্সে তৈরি হওয়া পণ্য বিক্রি করা হবে। সেজন্য ৫০ শতাংশ জায়গা বরাদ্দ থাকবে। বাকি জায়গাতে বাংলার শাড়িসহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি হবে বলে তথ্য মিলেছে।