বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে ‘বেফাঁস’ মন্তব্যের জেরে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর ‘সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু’ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছিল খোদ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এরপরেই সামনে আসছে বড় খবর! জানা যাচ্ছে, ‘পদ’ হারাতে পারেন তিনি।
কোন ‘পদ’ হারাতে চলেছেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)?
২০১১ সালে পালাবদলের সাক্ষী ছিল বাংলা। বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরেই হিডকোকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপর থেকে প্রায় ১৪ বছর পদাধিকারবলে হিডকোর চেয়ারম্যান ছিলেন ফিরহাদ। এবার শোনা যাচ্ছে, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মিবর্গ দফতরের অধীন আসতে চলেছে হিডকো। ফলে হিডকোর চেয়ারম্যান পদ থেকে ফিরহাদের অপসারণ এখন নেহাত সময়ের অপেক্ষা বলে অনুমান করছেন অনেকে।
রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে হিডকোকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মিবর্গ দফতরের অধীন নিয়ে আসার প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এই দফতর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণাধীন। ফলে হিডকোর চেয়ারম্যান পদে ফিরহাদকে (Firhad Hakim) সরানো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে অনুমান করছেন অনেকে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই পদে এবার বসতে পারেন খোদ মমতা নিজে।
আরও পড়ুনঃ জেলেই পার্থ, এরই মধ্যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ভয়ঙ্কর কীর্তি ফাঁস করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট
এখন প্রশ্ন হল, ফিরহাদকে (Hidco) কেন হিডকোর চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের পরিকল্পনা করা হল? তৃণমূল সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে ফিরহাদ তথা ববির একাধিক মন্তব্যের কারণে দলের অস্বস্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি এমন কোনও ইস্যু পাক, সেটা চান না তৃণমূল নেত্রী মমতা।
সেই সঙ্গেই আগামী অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে। হিডকো সেই মন্দির নির্মাণ করেছে। তাই ট্রাস্টি বোর্ডে ফিরহাদকে (Firhad Hakim) রাখতেই হতো। এদিকে তিনি থাকলে মন্দির নির্মাণের সমগ্র ‘রাজনৈতিক লাভ’ মিলতো না। সেই কারণে আগেভাগেই তাঁকে অপসারণের পরিকল্পনা বলে খবর। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এর ফলে তৃণমূলের অন্দরে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়লেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। এই বিষয়ে এখনও অবধি ফিরহাদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।