বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)! তাঁর খ্যাতি জগৎ জোড়া। আর এবার বিশ্ব কবিকে নিয়েই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানের কয়েকটি শব্দ বদল করা যায় কি না সেই প্রস্তাব দিয়ে জোর বিতর্কে মমতা।
মঙ্গলবার এক সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের “বাংলা দিবস” ও রাজ্য সঙ্গীত বিষয়ে এই সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের জন্য পহেলা বৈশাখ দিনটিকে ‘বাংলা দিবস’ আর রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বৈঠকে মমতা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটির কয়েকটি শব্দ বদল করে সেটিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে গ্রহণ করা যায় কী না সেই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, এই বিষয়ে সকলের মতামত নেওয়ার পরই প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য বিধানসভায় আনা হবে। এখানেই ঘটে বিপত্তি। পহেলা বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসাবে গ্রহণ করা হলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের শব্দ পরিবর্তন করা নিয়ে মত পার্থক্য দেখা দেয়। বৈঠকেই শুরু হয় জোর বিতর্ক।
আরও পড়ুন: মহা বিপাকে ED! তদন্তকারী সংস্থার ঘুম ওড়াতে বিরাট চাল লালবাজালের, আসবেন ‘সেই’ ব্যক্তি
ঠিক কি দাবি মমতার? ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হিন্দু-মুসলমানের হাতে রাখি পড়িয়ে রাখি বন্ধন উৎসব করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই উপলক্ষ্যেই কবি ‘বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু, বাংলার ফল – পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান’ এই গানটি লিখেছিলেন।
আরও পড়ুন: চিটফান্ডকাণ্ডে যোগ! প্রায় ৬০ কোটি টাকা হাতিয়েছেন পার্থ, যা তথ্য সামনে এল দেখে ‘থ’ ED
এই গানেরই কিছু শব্দ পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন মমতা। গানটিতে ‘বাঙালির পণ বাঙালির আশা’ ‘বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন’ যে লাইনগুলিতে ‘বাঙলি’ শব্দটি রয়েছে সেখানে বাঙালির পরিবর্তে ‘বাংলার পণ বাংলার আশা’ এই রকম ভাবে করা যায় কিনা সেই বিষয় ভাবার প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা।
বৈঠকে কি বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো? “রাখি বন্ধনের জন্য রবীন্দ্রনাথ যখন গানটি লিখেছিলেন, তখন তিনি সব সমাজকে নিয়ে কথা বলেছিলেন, যারা বাংলায় কথা বলেন। কিন্তু এখন বাংলায় বিভিন্ন জাতি, সম্প্রদায়, ধর্মের মানুষ বাস করেন। তিনি বেঁচে থাকলে বলতেন ‘বাংলার’। তাই বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন-এর জায়গায় বাংলার প্রাণ বাংলার মন বাংলার ঘরে যত ভাইবোন – এটা ব্যবহার করতে পারি কি না, এই বিষয়ে মতামত চাইব,”।