বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। আর তার আগেই গ্রামীণ রাস্তাগুলির (Rural Roads) দিকে নজর দিতে চাইছে মমতা সরকার (Mamata Government)। মঙ্গলবার এই মর্মে জেলাগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হল নবান্ন তরফে। রাজ্য তরফে নির্দেশ, মার্চ মাসের মধ্যে রাজ্যের ৯ হাজার রাস্তা মেরামতি, সম্প্রসারণ ও নতুনভাবে রাস্তা তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যের টাকায় ওই সব রাস্তা তৈরী হচ্ছে তা বোঝাতে রাস্তার দু’মাথায় বোর্ড লাগিয়ে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হবে কেন্দ্রের সাহায্যে এই রাস্তা তৈরী হয়নি।
শুধু তাই নয়, রাস্তা নির্মাণের (Restoration) যাতে কোনো প্রকার দুর্নীতি না হয়, সেই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে নবান্ন। পাশাপাশি টেন্ডার ডাকার দায়িত্ব জেলাশাসক, বিডিও বা এসডিও-র দফতরকে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। বহুদিন থেকেই রাজ্য তরফে অভিযোগ ছিল, বাংলার গ্রামে রাস্তা তৈরির কাজে টাকা দিচ্ছেনা কেন্দ্র (Central Government)। পাওনা আটকে রাখছে দিল্লি।
রাজ্য সরকারের এই অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সম্প্রতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা খাতে রাজ্যের সাথে মত ১৭৩ কোটি টাকার হিসাব এখনও মেলানো হচ্ছে। যার ফলে রাজ্যের পাওনা রয়েছে। অন্যদিকে, অনেকের মতে পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে এই বিষয়কেই হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল সরকার।
কারণ কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকায় কোনো প্রকল্পের কাজ হলে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে যেমন তার চারিদিক মুড়ে দেওয়া হয়, রাজ্যের টাকায় রাস্তা মেরামত ও নির্মাণ করে সেই পাবলিসিটি পন্থাই অবলম্বন করতে চলেছে মমতা সরকার। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত দফতরে নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে, পরের মাসের ২৭ তারিখের মধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত পক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
পাশাপাশি বলা হয়েছে, রাস্তা সারাই, মেরামতির কাজে জেলাওয়াড়ি সমীক্ষা করা হবে। নোডাল অফিসারের দায়িত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরা। চলতি মাসের ২৩ তারিখের মধ্যেই রাস্তার তালিকা জেলা থেকে পাঠিয়ে দিতে হবে নবান্নে। তারপর রাজ্য সরকার তরফে পরবর্তী পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হবে। পাশাপাশি এক পৃথক পোর্টালে রাস্তা সাড়াইয়ের আগের ও পরের ছবিও আপলোড করতে হবে। যাতে ঠিকাদার কাজ ফেলে না রাখতে পারে সেজন্য ভিডিও ফুটেজও আপলোড করতে হবে সংশ্লিষ্ট পোর্টালে।