বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আধ্যাত্ম চর্চা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির পীঠস্থান হলো আমাদের বাংলা। বঙ্গের প্রতিটি প্রান্তে মানুষ আধ্যাত্ম চর্চা করে থাকেন। ঠিক সে রকম ভাবেই এখানকার অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় পীঠস্থান হলো দক্ষিণেশ্বর মন্দির। একই সঙ্গে রামকৃষ্ণ, মা সারদা এবং বিবেকানন্দকে স্মরণ করা হয় এই স্থানে। যেখানে বছরের প্রতিটি দিন হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটে। বর্তমানে তৃণমূল সরকারের আমলে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরকে আধুনিক রূপ দেওয়ার জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মন্দির চত্বরে ডালা আর্কেড থেকে শুরু করে স্কাইওয়াক তৈরীর মাধ্যমে পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দিরকে এক নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে আর এবার audio-visual মাধ্যমে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ইতিহাস সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য শুরু হয়ে গেল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রকল্প। যার উদ্বোধন হলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে।
বহুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা যায় এই প্রকল্পটির কথা এবং এদিন অবশেষে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে প্রকল্পটির পাশাপাশি একটি মিউজিয়ামও উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি একটি বইও প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যেখানে মূলত মন্দিরের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রকল্পের উদ্বোধন করার পরেই 25 মিনিটের একটি শো প্রদর্শিত হয়, যেখানে তুলে ধরা হয় মন্দির সংক্রান্ত সকল ইতিহাস। যা দেখে অভিভূত হয়ে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা যায় রামকৃষ্ণ, রানী রাসমণি এবং বিবেকানন্দের নাম। তিনি বলেন, “রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন, ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’ এটার অর্থ কি? এর অর্থ হল, আমাদের যেটুকু প্রয়োজন তার অতিরিক্ত চাওয়া কখনোই উচিত কাজ নয়। কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সকল মানুষের সবকিছুই যেন বেশি চাই। কিন্তু এর কোন দরকার নেই। আপনার যতটা প্রয়োজন, ততটা চাওয়া দরকার, অতিরিক্ত নয়।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী ঘুরিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন।
এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং সুজিত বসুরা। তাদের সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইতিহাস ও ধর্মচর্চার পাশাপাশি একাধিক ক্ষেত্রে দক্ষিণেশ্বর মন্দির এখন আন্তর্জাতিক মানের হয়ে গিয়েছে। ফলে আমি সকলকে আহ্বান জানাই, আপনারা মন্দিরে আসুন এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানুন।”