বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনা আবহে দুবার তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার পর শুরু হল ২৫ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। নজরুল মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বসেছিল চাঁদের হাট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তো উপস্থিত ছিলেনই। এছাড়াও ছিলেন বলিউড অভিনেতা তথা তৃণমূলের নব নির্বাচিত সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, গৌতম ঘোষ, সন্দীপ রায়, রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রানী হালদার, নুসরত জাহান, বাবুল সুপ্রিয়।
গত এক বছরে বিনোদন দুনিয়ার যে নক্ষত্ররা হারিয়ে গিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে চলচ্চিত্র উৎসবে। শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রয়াত কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar), গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay), ডিস্কো কিং বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri) ও অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে। এই প্রয়াত মানুষদের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কিছু টুকরো স্মৃতিও শেয়ার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, নির্বাচনে জিতে আসার পর লতা মঙ্গেশকর একটি সোনার তৈরী মা কালীর মূর্তির লকেট পাঠিয়েছিলেন তাঁকে। গায়িকার ভাইঝি এনে দিয়েছিলেন তাঁকে। মুম্বইতে গিয়ে নাইটিঙ্গেলকে বঙ্গবিভূষণ সম্মান দেওয়ার ইচ্ছাও ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু গায়িকা তখন অসুস্থ থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কথা মনে করে মুখ্যমন্ত্রী আবারো বলেন, তাঁর কাছে বারবার গান শুনতে চাইতেন গীতশ্রী। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগের দিনই শেষবার কথা হয়েছিল তাঁদের। বাপ্পি লাহিড়ীও দেখা হলেই বলতেন, “দুটো গান দাও তো, গাইব!” নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার স্মৃতিও শেয়ার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরা আর নেই, সেটা ভেবেই শিউরে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় নিজে এত ভাল গান করতেন। আর এদিকে আমাকে বলতেন, মমতা একটা গান শোনাও না। আমি বলতাম, আপনি আমাকে বলছেন! আপনি নিজে সঙ্গীত বিশারদ। তাও গাইতে বলতেন। তাই আমাকে কতবার সন্ধ্যাদিকে গান গেয়ে শোনাতে হয়েছে।”