বাংলাহান্ট ডেস্ক : দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগেই শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধী দল সকলেই জোড় কদমে শুরু করেছেন ভোটের কাজকর্ম। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্বয়ং ছুটে গিয়েছেন ভূতের প্রচারের জন্য বাঁকুড়ায়। আজ শুক্রবার বাঁকুড়া থেকেই বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার পাশাপাশি বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের বলরামপুর ফুটবল মাঠে সরকারি পরিষেবা অনুষ্ঠান যোগ দেন তিনি।
সভামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর গলায় নারীর ক্ষমতায়নের কথা শোনা যায়। মহিলাদের উপর আস্থা ভরসা রাখার পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পর্কেও বার্তা দেন তিনি। হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, ‘দু’জন সাংসদ রয়েছেন। অধিকাংশ বিধায়কও তো বিজেপির। কিন্তু কী করেছে বাঁকুড়ার জন্য? আজ পর্যন্ত উন্নয়ন হয়নি। ভোটের সময় আসে। আর ভোট নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি বিশ্বাস করি মহিলাদের ক্ষমতায়নে আমরা সারা বিশ্বে এক নম্বর। এই মেয়েরাই একদিন দেশ চালাবে, বিশ্ব চালাবে।’
সমাজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য মহিলাদের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি কড়া দাওয়াই দেন জেলা প্রশাসনকে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘দক্ষিণবঙ্গ থেকে সোজা উত্তরবঙ্গের সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করছে রাজ্য সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থেকে শুরু হয়ে সড়ক জয়রামবাটি–কামারপুকুর থেকে বর্ধমানের মধ্যে দিয়ে মোরগ্রাম হয়ে সোজা চলে যাবে উত্তরবঙ্গে। এটা বাঁকুড়ার প্রাপ্তি।’ একই সঙ্গে উদ্বোধন করার পর কেন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে না সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল নেত্রী।
অন্যদিকে, ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষও করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে বাঁকুড়ার ঘরে ঘরে নলবাহিত জল পৌঁছে যাবে। বাঁকুড়ায় আগে জল পাওয়া যেত না। ৭ লক্ষ ৬০ হাজার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। ৩২০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ–দক্ষিণবঙ্গ সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হবে। ৬০ বছর বয়স হলে প্রাপকরা সরাসরি বার্ধক্য ভাতায় নথিভুক্ত হবেন। আগামী বছর বাংলায় ৮ কোটি কর্ম দিবস তৈরি হবে।’