বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জমি শক্ত করতে আসরে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। জোর প্রস্তুতি শাসকদল তৃণমূলেও (Trinamool Congress)। গতকাল কালীঘাটে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সর্বাধিনায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও যুবরাজ অভিষেক। সেই বৈঠকের মাঝেই হঠাৎ ফিরহাদের (Firhad Hakim) ওপর বেজায় চটলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে দলের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎই আলোচনা থামিয়ে মাঝেই ববির উদ্দেশে বলেন, ‘ববি, তুই বেশি কথা বলছিস। কর্পোরেশন নিয়ে বলবি। তার বাইরে কোনও বিষয়ে তোকে কথা বলতে হবে না। বলার আগে আমায় জিজ্ঞেস করে নিবি। এটা যেন মনে থাকে!’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের ডিএ আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে করা ফিরহাদের একাধিক মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ডিএ আন্দোলনকে নাটক বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। ডিএ আন্দোলনের মত সংবেদনশীল একটা জায়গায় ফিরহাদের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে করা মন্তব্যের দরুন তৃণমূলের ভালোর চাইতে খারাপই বেশি হয়েছে বলে মত অনেকের। বিরোধীরাও ফিরহাদের করা মন্তব্য নিয়ে ময়দানে নামে।
এরপরই গতকালের বৈঠকে ফিরহাদের কথা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইল কালীঘাট। কার্যত লাগাম দেওয়া হল তার মুখে। সূত্রের খবর, শুধু ফিরহাদই নন এদিন বৈঠকে কারামন্ত্রী অখিল গিরি, অরূপ চক্রবর্তী, উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকেও সামলে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
জানা গিয়েছে, এদিন তালড্যাংড়ার অরূপ চক্রবর্তীকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমার সব বিষয়ে এত বাইট দেওয়ার কী আছে? এসব কোরো না।’ অন্যদিকে, নিজের করা মন্তব্যের জন্য সর্বদাই বিতর্কের শিরোনামে বড়সড় জায়গা করে নেন উদয়ন গুহ। সম্প্রতি, দিনহাটার একটি সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, ‘কিছু লোকের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নীচে সততার প্রতীক লেখা যাচ্ছে না।’ যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চৰ্চা শুরু হয়েছিল। সেকারণেই হয়ত তার মুখেও লাগাম দিলেন দলের সর্বাধিনায়িকা।