বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজো আসতে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি, তবে কলকাতার পুজো কমিটিগুলির প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই শারদোৎসব। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩১ জুলাই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় বৈঠক। বৈঠকের নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষকর্তারা, কলকাতা পুরসভা, দমকল, সিইএসসি, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও পরিবহণ দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পুজো কমিটির উদ্যোক্তারাও এই সভায় যোগ দেবেন।
সরকারি অনুদান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
প্রতি বছরের মতো এ বারও এই বৈঠক থেকে দুর্গাপুজোর জন্য সরকারি অনুদান ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), ফলে রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার পুজো কমিটির নজর এখন এই বৈঠকের দিকেই। সভা থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে পরিবেশবান্ধব প্রতিমা, শব্দ দূষণ এড়ানো, ট্রাফিক ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা, এবং সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার মতো নানা বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই বছর বৈঠকের একটি বড় বিশেষত্ব হল, সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি এই বৈঠকে অংশ নেবেন। উৎসবকে সর্বজনীন রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
উৎসবের দিনগুলিতে বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং নিরাপত্তা, এই সমস্ত দিক যাতে বিঘ্ন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই এই সমন্বয় সভা। শুধু কলকাতা নয়, জেলার পুজো কমিটিগুলিও যাতে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে, সেই দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ কবে থেকে শুরু কর্মসূচি? ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ নিয়ে জারি হল নির্দেশিকা
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগেই গত এক দশকে দুর্গাপুজো শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এক বৃহৎ সামাজিক-সাংস্কৃতিক আবহে পরিণত হয়েছে। সরকারি আর্থিক সহায়তা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পিঙ্ক পুলিশ টিম, স্বাস্থ্য ক্যাম্প—সব কিছু মিলিয়ে উৎসবকে সর্বজনীন করে তোলার চেষ্টা করে এসেছে সরকার। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন থাকায়, এবারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলির জন্য নতুন কোনও বিশেষ ঘোষণা করতে পারেন বলেও আশা করছেন উদ্যোক্তারা।