বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিল্প সম্মেলনের ব্যস্ত সূচির মধ্যেই এই বছর আগেভাগে শুরু হতে চলেছে কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে এবছর বড়দিনের উৎসবের সূচনায় কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওই দিন থেকেই নতুন বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, অর্থাৎ টানা ১৪ দিনের ক্রিসমাস উদযাপন করা হবে।
১৮ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, অ্যালেন পার্ক ঘিরে উৎসব
নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর অ্যালেন পার্ককে কেন্দ্র করেই চলবে ক্রিসমাসের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সঙ্গীত পরিবেশনা, আলোর সাজ এবং থিম-ভিত্তিক আয়োজন। রঙিন আলোয় সাজিয়ে তোলা হবে গোটা পার্ক স্ট্রিট চত্বর। থাকবে খাবারের একাধিক স্টল। নতুন বছরের প্রথম রবিবার, অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি এই উৎসবের পর্দা নামবে।
শিল্প সম্মেলনের জন্যই আগাম সূচনা
প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর শহরে পরপর দু’দিন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বিষয়ক কর্মসূচি থাকায় বড়দিনের উৎসবের সূচনাতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বসছে এমএসএমই মিট। পরদিন, ১৮ ডিসেম্বর আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ। এই দুই কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতায় আসছেন বহু দেশি ও বিদেশি শিল্পপতি, বিনিয়োগকারী ও বণিক মহলের প্রতিনিধিরা।
নবান্ন (Nabanna) তরফে বলা হয়েছে, সাধারণত অন্যান্য বছরে ২০ ডিসেম্বরের পর বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধন হলেও, শিল্প সম্মেলনের গুরুত্ব মাথায় রেখেই এবছর তা এগিয়ে আনা হয়েছে। বিজনেস কনক্লেভের অনুষ্ঠান শেষ করেই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) পার্ক স্ট্রিটে গিয়ে ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালের সূচনা করবেন।
শিল্প সম্মেলনের গুরুত্ব মাথায় রেখে এবছর আলোকসজ্জায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পার্ক স্ট্রিটের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরকেও আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ভবানীপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত আলিপুর এলাকাতেই ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে শিল্প সম্মেলন হওয়ায় ওই অঞ্চলকেও বিশেষ ভাবে আলোকিত করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, এই আলোকসজ্জার জন্য কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও ২৫ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বর রাতে পার্ক স্ট্রিটে মানুষের ঢল নামবে। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আগমনও থাকবে চোখে পড়ার মতো। সেই কথা মাথায় রেখে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও ভিড় সামলাতে আগেভাগেই পরিকল্পনা করছে কলকাতা পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ দায় এড়াতেই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত? মেসি বিতর্কে অরূপ বিশ্বাসের ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অমিত মালব্য
নবান্নের (Nabanna) আধিকারিকদের একাংশের মতে, সম্প্রতি লিওনেল মেসির আগমনকে কেন্দ্র করে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তাতে শহরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষা নিয়ে এবছর শিল্প সম্মেলন এবং বড়দিনের উৎসব ঘিরে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে রাজ্য সরকার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক বার্তা যাতে না যায়, সে বিষয়েও বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে।












