বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের আসনে দাঁড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (mamata banerjee)। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তৃণমূল জয়লাভ করায় বাংলার মসনদে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
মুখ্যমন্ত্রীর আসন ধরে রাখার জন্য ফের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যেই প্রচার শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তবে বুধবার ভবানীপুরের কর্মীসভায় যোগ দিয়ে এক অজানা বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচন পরবর্তীতে তিনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি, দলীয় নেতৃত্বদের জোরাজুরিতে তিনি এই পদ গ্রহণ করেছেন বলেই জানালেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমি বললাম, এতোদিন তো করলাম, এবার আমাকে ছেড়ে দিন। আপনার করুন, আমি সবটা দেখে শুনে করে দেব। কিন্তু ওঁরা বলল, হবে না। আমাকে মুখ্যমন্ত্রীও থাকতে হবে আবার চেয়ারম্যানও থাকতে হবে। সবার জন্য ”এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি হলেও, আমার জন্য আলাদা। কিন্তু কেন এই বিভেদ করছে আমার সঙ্গে? সেকথাও ওঁরা মানতে চাইল না। এই তো সামনে আছে, জিজ্ঞেস করুন’।
অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এটা স্পষ্ট যে, নির্বাচন পরবর্তীতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি। দলীয় কর্মীদের ইচ্ছায় তিনি এই পদ গ্রহণ করেছেন। নন্দীগ্রামের ফল প্রকাশের পর ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধারণা করা হচ্ছে, সেইসমস্ত বিড়াম্বনার থেকেই তিনি হয়ত এই আসন ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন অন্য কেউ রাজ্য সামলাক, নেপথ্যে থেকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।