বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) রোষেই কি পড়লেন তিনি? সাম্প্রতিক কালে তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। যা নিয়ে একাধিকবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress)। দলের নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা (Kolkata) থেকে ছুটে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)।
কিন্তু তাতেও তাঁর হুঁশ ফেরেনি। এরপরও বিভিন্ন কার্যকলাপ এবং মন্তব্যে বারবার দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। এবার হুমায়ুন কবীরকে নাম না করে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন অন্যায় করলে কাউকে ছাড়া হবে না। সে দলেরই কেউ হোক না কেন।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যা সন্ত্রাস হয়েছে তা সবটাই বিরোধীদের মদতে। আমার দলেও মুর্শিদাবাদের একজন বিধায়ক রয়েছেন। যিনি গুন্ডামি করেন মাঝেমধ্যেই হুঙ্কার দেন। আমি এসব কাজকে সমর্থন করি না।’ এর আগেও প্রশাসনিক সভায় হুমায়ুন কবীরকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিধানসভায় কার্যত সকলের সামনেই নাম না করে হুমায়ুন কবীরের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাউকে ছাড়ি না । আমার দলের হলেও আমি ছাড়িনা। এর আগে অনেকেকেই অ্যারেস্ট করিয়ে দিয়েছি। পুলিসকে বলেছি এরকম কেউ অশান্তি করলেই তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে হবে।’
পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ভোট পর্বে দল বিরোধী কাজের জন্য বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন এই বিধায়ক। এমনকী তৃণমূলের বদলে নির্দল প্রার্থীদেরও সমর্থন করেছিলেন তিনি। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন হুমায়ুন কবীর। তিনি তাঁর গোষ্ঠীর জয়ী নির্দলদের নিয়ে বোর্ড গঠন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এর আগে হুমায়ুন কবীর সভানেত্রীকে পদত্যাগ না করা হলে তৃণমূল পার্টি অফিস ঘেরাও করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় দলের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে মুর্শিদাবাদ ছুটে গিয়েছিলেন শাসক দলের বিধায়ক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক। কিন্তু তারপরেও দলের প্রতি ক্ষোভ কমেনি হুমায়ুন কবীরের।