বাংলাহান্ট ডেস্ক : শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ নতুন নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মাঝে-মধ্যেই সেই ছবি দেখা যায়। সম্প্রতি সেরকমই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই দেখা যায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রীদের, তাও আবার খাস কলকাতায়। এবার সেই ঘটনার রেশ ধরেই গোষ্ঠীদ্বন্দের প্রবণতা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন ও পাশাপাশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠক চলাকালীন মন্ত্রীদেরকে মুখ বন্ধ রাখার কথাও বলেন মমতা।
সূত্রের খবর, নবান্নে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতেই মন্ত্রী সুজিত বসুর কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান বিধাননগর এলাকায় এত গোলমালের কারণ কী? শুধু তাই নয়, তৃণমূল সুপ্রিমো সরাসরি দমকলমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, “সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে এত বিবাদ কীসের?” যদিও, সুজিত মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁর সঙ্গে সব্যসাচীর কোনও বিরোধ নেই। দু’টি ক্লাবের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে, তাতে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে কসবার গোষ্ঠীদ্বন্দের ছবি। সেই বৈঠকেই জাভেদ খানকে ‘ধমক’ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, জাভেদ খানের দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলি ভালভাবে দেখা হচ্ছে না বলেও ইঙ্গিতে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও মন্ত্রী এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে গোটা বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ব্যাখ্যা শোনার প্রয়োজন মনে করেননি। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, ভবিষ্যতে কসবা এলাকার কোনও গন্ডগোলের বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর যেন তাঁর কাছে না আসে।
নবান্ন সূত্রে খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেন, দল কোনওভাবেই কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে প্রশ্রয় দেবে না। কাউন্সিলার-মন্ত্রী সবাইকে মিলেমিশে চলতে হবে। দলে একটাই গ্রুপ সেটা তৃণমূল কংগ্রেস। এর বাইরে কোনও কিছুই বরদাস্ত করা হবে না। তবে, খাস কলকাতায় এমন চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।