বাংলাহান্ট ডেস্ক : শহীদ দিবসের বক্তৃতায় আজ অপ্রতিরোধ্য মমতা (Mamata Banerjee) একুশের মঞ্চে মিলিয়ে দিলেন দুই বাংলাকে। শুধু ভাষায় নয়, সংগ্রামের মন্ত্রেও যেন এক করে দুই বাংলার মানুষকে। ইতিহাস বলছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দুকে (Urdu) পূর্ব পাকিস্তানের (West Pakistan) বাংলাভাষী মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। দেশভাগের পর সদ্য গঠিত পাকিস্তানে সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা। উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসা জনতার উপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায় ১৯৫২-র ২১ ফেব্রুয়ারি। পরে দিনটিকেই রাষ্ট্রসংঘ (UN) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের (International Mother Language Day) স্বীকৃতি দেয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযান আন্দোলনের সঙ্গে বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলনের ২১ ফেব্রুয়ারির অনেকাংশেই মিল রয়েছে।
জাগোবাংলা পত্রিকায় ২১ জুলাইয়ের কথা লিখতে গিয়ে এই কথা লিখেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি সেই আন্দোলনের কারণও ব্যাখ্যা করেন তাঁর সেই লেখায়। তিনি লেখেন, ‘১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের আগে ছাপ্পা ভোট, ভুয়ো ভোট চলত নির্বিচারে। ভোটের ফলাফল ঠিক হয়ে যেত অনেক আগেই। কংগ্রেস সেদিন বলেছিল, নো আই কার্ড নো ভোট। সচিত্র পরিচয়পত্র চাই। দেশে প্রথম আমরাই আওয়াজ তুলেছিলাম। শেষে নির্বাচন কমিশন এটা মেনে নিয়েছ। ২১ জুলাই আমাদের শহিদদের প্রাণের বিনিময়ে এল ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র। আর ২১ জুলাই হয়ে থাকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নিরপরাধ রাজনৈতিক কর্মীদের উপর আক্রমণের এক কালোদিন। যাঁরা জীবন দিয়েছিল, তাঁরা অমর হয়ে থাকল।’