বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কের মাঝেই মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য ভালমতো নিল না বিরোধীরা। গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল ছাত্রনেতার উপাচার্যকে হেনস্তা করার ঘটনাকে নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে এদিন মমতা ব্যানার্জির বলা ‘একটু কটূ কথা বলেছে’ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন জলঘোলা শুরু হয়েছে।
এদিন ভার্চুয়াল সভা থেকে বগটুই কাণ্ডে নিহত পরিবারের আত্মীয়দের সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে যোগদান দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়োগ প্রদানের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিক ইস্যুতে নিশানা করেন। প্রথমেই তিনি ভারতের অর্থনীতির দিকটি তুলে ধরেন এবং বলেন যে, “শ্রীলঙ্কা দেশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের দেশের হাল খুব একটা ভালো নয়। রান্নার গ্যাস থেকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে কেন্দ্র সরকারের উচিত এই দিকটি বিবেচনা করে দেখা।”
এর পরই তাঁকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেন। তবে পরবর্তীতে তিনি বলেন, “আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অংশ ভালো পড়াশোনা করে আর একটা অংশ খারাপ রয়েছে। তারা একটু কটূ এবং খারাপ কথা বলেছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারও করেছে। আমাদের এখানে পুলিশ সর্বদা সঠিক পদক্ষেপ নেয়।” এর পরেই তিনি বিশ্বভারতী প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন যে, “ওখানকার ভিসি একের পর এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাকে তো অ্যারেস্ট করা হয়নি।” ফলে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, নাম না করে তিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিশানা করেছেন।
যদিও এরপর মমতা ব্যানার্জির বক্তব্যের সমালোচনায় নেমেছে বিরোধীদলগুলি। বর্তমানে রাজ্য পুলিশ যে পায়ে বেড়াজাল পরে রয়েছে এবং সেই কারণেই গিয়াসউদ্দিন এর মত ছাত্রনেতারা বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ঢুকে উপাচার্যকে খুনের হুমকি দিতে পারে, সে বিষয়ে মন্তব্য করেছে বিরোধী দলগুলি। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী রায়গঞ্জ কলেজের প্রিন্সিপালকে গাছে বেঁধে পেটানোর কথা উল্লেখ করে বলেন যে, “সেই বিষয়টিকে মমতা ব্যানার্জি ‘ছোট ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন আর এক্ষেত্রেও তিনি ‘একটু কটূ কথা’ বলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেলেন।”