বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুরু হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর (mamata banerjee) সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীর কাজ। টানা দুমাস ধরে অর্থাৎ ১ লা ডিসেম্বর থেকে ৩১ শে জানুয়ারি অবধি চলবে এই প্রকল্পের কাজ। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য যাতে নির্ধারিত ১১টি সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা থেকে একটি পরিবারও বাদ না যায়।
বাংলার সকল মানুষের চিকিৎসার সুবিধার্থে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী (swasthya sathi) প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। পূর্বে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র সরকারী হাসপাতালগুলো থেকে দেওয়া হত। তবে বর্তমানে বেশ কয়েকটি বেসরকারী হাসপাতালকেও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জানিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র বাছাই করা পেশার নাগরিকরাই নন, এবার এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বাংলার প্রতিটি মানুষ। আর এই প্রকল্প চালু হতেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষের লাইন লেগে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের প্রথম সুবিধা পেলেন কলকাতা শহরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, তবে ইনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নন। ইনি ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এই প্রবীণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হালতু পূর্বাচলের ৩ নম্বর বস্তিতে তিনি থাকেন। কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম নিজেই তাঁর হাতে প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দিলেন।
এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এই প্রকল্পের আয়ত্তাভুক্ত প্রতিটি পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। এত বড় সামাজিক ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের নজির আর কোথাও দেখা যায়নি। আগে বাংলার প্রায় সাড়ে ৭ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তখন রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প বাবদ বছরে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা খরচ হত। তবে বর্তমানে আরও অধিক আড়াই কোটি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন। এতে করে আরও ৭০০ কোটি টাকা খরচ বড়বে সরকারের’।