যৌন উত্তেজনায় গিলেছিলেন কন্ডোম মোড়ানো কলা! পেট কেটে বের করলেন চিকিৎসকরা!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছু ঘটনা দেখলে মনে প্রশ্ন আসে, উত্তেজনার বশে মানুষ এমনও করতে পারে? ৩৫ বছর বয়সি আমেরিকান এক যুবক যা করলেন তাতে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। গবেষকদেরও ধারণা, এই ঘটনা সম্ভবত ইতিহাসে এই প্রথম। তাঁর কাণ্ড নিয়ে রীতিমতো গবেষণা হয়েছে। সেই গবেষণা আবার প্রকাশিত হয়েছে এই সপ্তাহের কিউরিয়াস জার্নালে। এমন কী কাজ করলেন ওই ব্যক্তি? 

জানা গিয়েছে, যৌন উত্তেজনার চরম মুহূর্তে একটি কলাকে কন্ডোমে জড়িয়ে খেয়ে ফেলেন। তারপর থেকেই শুরু হয়ে কেলেঙ্কারী। শুরু হয় পেট ব্যথা, বমি। কিন্তু কিছুতেই সেই কন্ডোম জড়ানো কলা বেরোচ্ছিল না। টানা ৭ ঘণ্টা তিনি ছটফট করেছেন যন্ত্রণায়। জল অবধি খেতে পারছিলেন না। তারপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা। তবে সেখানে লজ্জায় নিজের কাজের কথা বলতে পারেননি তিনি। 

condom banana

চিকিৎসকদের তিনি শুধু বলেন, আগের দিন থেকে টয়লেট হচ্ছিল না তাঁর। কারণ খুঁজতে চিকিৎসকেরা তাঁর সিটি স্ক্যান করেন। সেই স্ক্যানে যা দেখা যায়, তাতে তাজ্জব বনে যান তাঁরাও! স্ক্যানে দেখা যায়, ওই যুবকের ক্ষুদ্রান্তে একটি কন্ডোম মোড়ানো কলা আটকে রয়েছে। যার ফলে এত সমস্যা। এরপর তাঁরা রোগীকে জিজ্ঞেস করেন। তিনিও ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন। 

তবে এমন কাণ্ড কেন ঘটালেন ওই যুবক? চিকিৎসকরা জানতে পারেন, হরমোনের অসামঞ্জস্য রয়েছে তাঁর শরীরে। ফলে তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল এক অসুখ। চিকিৎসার পরিভাষায় এটিকে হরমোনাল রেজ ফিট বলা হয়। আপাতভাবে তিনি সুস্থই থাকেন। তবে হরমোনের মধ্যে তারতম্য দেখা দিলেই নানা ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন তিনি। 

condom banana

এই সমস্যা ২৪ ঘণ্টা থাকে তাঁর শরীরে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশন হয়ে রয়েছে তাঁর। এটির ওষুধও চলছে। চিকিৎসকদের তিনি জানিয়েছেন, এমন কাজ তিনি করতেই চাননি। তবে তাঁর আত্মা নাকি তাঁকে বলেছিল যে কেউ তাঁর ক্ষতি করতে পারে। অন্য কিছু যাতে শরীরে প্রবেশ করতে না পারে তাই তিনি কন্ডোম মোড়ানো কলা খেয়ে ফেলেন। তবে তিনি সেই সময় মদ্যপ ছিলেন না। 

যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা ওই যুবককে বাঁচাতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তির শরীর থেকে কন্ডোম জড়ানো কলাটি সফল ভাবে বার করে আনতে পেরেছেন। অস্ত্রোপচারের তিনদিন পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, আপাতত খেতে ও মলত্যাগ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে তাঁর ছ’মাস সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর