বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে চলমান বন্যা পরিস্থিতি, তিস্তার জলস্ফীতি ও ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান ইস্যুতে কেন্দ্র এবং সিকিম সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া (Manas Ranjan Bhunia)। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, রাজ্য একের পর এক দুর্যোগ সামলাচ্ছে, অথচ কেন্দ্রের দিক থেকে কোনও সহযোগিতা মিলছে না।
তিস্তার জলে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ
এদিন সেচমন্ত্রীর মানস রঞ্জন ভুঁইয়া (Manas Ranjan Bhunia) অভিযোগ করেন যে, সিকিম সরকার কোনও রকম পূর্বাভাস ছাড়াই হঠাৎ জল ছেড়ে দিয়েছে, যার ফলে কাদা, পাথর, গাছ মিশে নদী উপচে পড়ছে। এর ফলেই জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ডুয়ার্সের একাধিক এলাকায় হড়পা বান নেমেছে। তাঁর মতে, সিকিম “অবৈজ্ঞানিকভাবে” জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালাচ্ছে, অথচ কেন্দ্র সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব।
কেন্দ্রে আটকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করে মানস (Manas Ranjan Bhunia)বলেন, “কেন্দ্র যেন ম্যাজিক করে এই প্রকল্প উড়িয়ে দিচ্ছে। টাকা দিচ্ছে না, বাধা সৃষ্টি করছে।” তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার নিজেদের অর্থে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং ২০২৭ সালের মার্চের মধ্যেই প্রকল্প শেষ হবে। তাঁর কথায়, “ঘাটালের রূপ পালটে যাবে।”
ডিভিসির কাজ নিয়েও ক্ষোভ সেচমন্ত্রীর (Manas Ranjan Bhunia)
ডিভিসি অর্থাৎ দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের ভূমিকাতেও ক্ষুব্ধ মন্ত্রী। অভিযোগ, ডিভিসি নদী ড্রেজিং না করায় জলধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তিনি (Manas Ranjan Bhunia) বলেন, “ফোন করছি, মেইল করছি, কিন্তু কিছুই করছে না। তেনুঘাট, মাইথনের উপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।” হুগলি, হাওড়া ও পূর্ব বর্ধমানে আগের বছর বন্যার জন্যও ডিভিসিকেই দায়ী করেছেন মন্ত্রী (Manas Ranjan Bhunia)।
আরও পড়ুনঃ এবছর পুজো কমিটি গুলির জন্য কত টাকা অনুদান ধার্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? জানুন আজকের বড় খবর
উল্লেখ্য, এদিন বৈঠকে মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া (Manas Ranjan Bhunia) আরও জানান যে, মালদহ ও মুর্শিদাবাদের নদীভাঙন ঠেকাতে রাজ্য ৬১০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পে বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যও অংশীদার হবে বলে জানান তিনি।