বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) জেরে অনেকদিন ধরেই জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। বহুদিন থেকে জামিনের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। তবে কোনো সুরাহা হয়নি। স্ত্রী ও পুত্রকে আদালত জামিন দিলেও মঞ্জুর হয়নি মানিকের আর্জি। তাই এবার উল্টো পথে হাঁটলেন শাসকদলের বিধায়ক।
নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক চিঠি। যা মুখ্যমন্ত্রী, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিকের উদ্দেশে লেখা হয়েছিল। সেই চিঠি নিয়েই এবার ঘুরিয়ে চাল দিলেন মানিক। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা চিঠির কথা চার্জশিটেও উল্লেখ করেছিল ইডি।
ইডির দাবি ছিল ওই চিঠিতে উত্তর দিনাজপুরের ৪৪ জন চাকরি প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে। এবার পাল্টা মানিকের দাবি, ওই চিঠিতে ২০১৩ সালের ঘটনার কথা বলা হয়েছে। আর তাকে ইডি গ্রেফতার করেছে ২০২৩ সালে।
এখানেই শেষ নয়, মনিকের দাবি চিঠিতে মহম্মদ খলিলউদ্দিন নামে যে ব্যক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে,সব টাকা তিনিই নিয়েছিলেন। চাকরির জন্য নেওয়া টাকা জমা পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের তহবিলে জমা পড়ে বলে ওই চিঠির বয়ান থেকে জানা যায়।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহুদিন জেলবন্দি, এরই মাঝে পার্থর জীবনে ঘোর দুঃসংবাদ…
মানিকের প্রশ্ন, চিঠির ভিত্তিতে খলিলউদ্দিন এবং জেলা তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতিকে জেরা করেনি ইডি। উল্টে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানিকের যুক্তি, ওই চিঠি তাকে দেওয়া চিঠিতে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগের উল্লেখ করা নেই। তাহলে কীভাবে ওই চিঠি তার বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হল? এই প্রশ্নই তুলেছেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। এবার এই চিঠিকে হাতিয়ার করে মানিক জামিন পাবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।