‘প্রহসন হয়েছে’! ক্ষমতায় ফিরলেও কেন রাজ্যের ৬০% মানুষ BJP-র বিপক্ষে? বিস্ফোরক মানিক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরায় (Tripura) নির্বাচন কেটে গিয়েছে বেশ কিছুদিন। বেরিয়ে গেছে ভোটের ফলাফলও। ২০১৮ সালের পর এবারেও সে রাজ্যে ফুটেছে পদ্ম। তবে গেরুয়া শিবিরের এই জয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের প্রাক্তন বাম মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার (Manik Sarkar)। ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) ‘প্রহসন’ হয়েছে বলে দাবি বর্ষীয়ান নেতার। শুধু তাই নয়, রাজ্যে ফের বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় এলেও রাজ্যের ৬০ শতাংশ মানুষ কেন বিজেপির বিপক্ষে ভোট দিলেন সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরলেন তিনি।

সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, ত্রিপুরার ভোট প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন মানিক সরকার। তার মতে ভোটের এই ফলাফল একেবারেই ‘অপ্রত্যাশিত’। নেতার দাবি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুট করে ভোট পেয়েছে বিজেপি। তার অভিযোগ, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ‘আক্রান্ত’।

জনসাধারণকে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ তুলেও এদিন সরব হন ধনপুরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক। তার কথায়, “বিজেপির এই ফল অপ্রত্যাশিত। কারণ, সরকারের অবদান শূন্য ৷ গণতন্ত্র এখানে আক্রান্ত হয়েছে। এবং অবাধ ভোটদানের অধিকার হরণ করা হয়েছে। নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। সংবিধানের এখানে কোনও কার্যকারিতাই ছিল না।”

সাক্ষাৎকারে বিজেপির বিপক্ষে যাওয়া ভোটের কারণও পর্যালোচনা করেন মানিকবাবু। তিনি বলেন, “একটি বিষয় একেবারে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ৬০ শতাংশ ভোটার বিজেপিকে ভোট দেননি। কিন্তু, বিজেপিবিরোধী ভোট ভাগ হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে আমি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করতে চাই না। আমি একেবারে নির্দিষ্টভাবেই আমার কথা বলছি।”

প্রসঙ্গত, ২৩ এর নির্বাচনে জোট বেঁধে ময়দানে নেমেছিল বাম এবং কংগ্রেস। তবে জোটের পরও ৬০ আসনের মধ্যে তাদের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১১টি আসন। কংগ্রেসের অনুকূলে মাত্র ৩টি। বিজেপি পেয়েছে ৩২টি আসন। অন্যদিকে, চমক দিয়ে প্রথম বার ভোটে লড়তে নেমেই ১৩টি আসন জিতে লাল বাহিনীর থেকে প্রধান বিরোধী দলের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে তিপ্রা মথা।

manik sarkar

পাশাপাশি ভোটে জিতলেও কেন রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ বিজেপির পক্ষে ভোট দিলেন না, সেই প্রশ্ন বিজেপি সুপ্রিমো প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদীকে করবে? এই নিয়েও গেরুয়া শিবিরকে তুলোধোনা করেন বাম নেতা। তার কথায়, “গতবার ওরা (বিজেপি) ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল। কিন্তু, এবার তা কমে ৪০ শতাংশে নেমেছে। কেন এমনটা হল, প্রধানমন্ত্রীকে সেই প্রশ্ন করুন।”

মানিকবাবুর সংযোজন, “পেশীশক্তি, অৰ্থশক্তি এবং সংবাদমাধ্যমের একটি বড় অংশ ওদের সঙ্গে রয়েছে। রাজ্য সরকারি বিভিন্ন দফতর এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়গুলির অপব্যবহার করা হয়েছিল। ওরা শুধুমাত্র সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করেছেন। এটা ওদের পক্ষে ভালো নয়।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর