বাংলাহান্ট ডেস্ক : দলের ভিতরেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের সাথে তার দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তিনি আর যাবেন না এলাকায়। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ তিনি প্রতিবাদ করেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তাই তাকে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। এই প্রসঙ্গে এদিন ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
ফেসবুকে মনোরঞ্জন ব্যাপারী লিখেছেন, প্রিয় বলাগড়বাসী আপামর জনগণ, আমি আপনাদের সেবক ভাই বন্ধু , আপনাদের জ্ঞাতার্থে অতি মনোদুঃখে জানাচ্ছি, বিগত কয়েক দিন ধরে যা চলছে আপনারা সবাই জ্ঞাত আছেন। আর কেন আমি বলাগড় বিধান সভা থেকে দূরে বসে আছি সেই কদাকার ঘটনাক্রম নিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি রাত আটটার সময় আমি ফেসবুক লাইভ করতে চলেছি।
আরোও পড়ুন : লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় নয়া মোড়! কালীঘাটের দুটি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করল ED, চাঞ্চল্যকর খবর সূত্রের
বলা চলে শেষ জবাব দিতে চলেছি। সেদিন আমি কিছু নিজের কথা বলব আর কিছু আপনাদের মনের মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্নেরও জবাব দেব। সাংবাদিক বন্ধুদেরও বলছি তৈরি থাকুন । তারপর ঘোষণা করবো আগামী দিনের কর্মসূচি। যাতে আমার বা তৃনমূল দলের লাভ হবে না ক্ষতি, সেটা আমি জানিনা।
আরোও পড়ুন : বাংলাদেশকে বড় উপহার মোদীর! হু হু করে নামবে পেঁয়াজের দাম, বড় সিদ্ধান্তের পথে ভারত
দুই তিন বছর অনেক অপমান অনেক সহ্য করেছি। আর নয়। লড়াই এবার এসপার ওসপার। এর সাথেই তৃণমূল বিধায়কের সংযোজন, এক মাটির মাফিয়া বালি মাফিয়া গাঁজার পাচারকারীদের সহায়ক জুয়ার বোর্ড চালানো উপনেতা- আমাকে চোর বলেছে খুনি বলেছে ধর্ষণ বলছে। আমি নাকি- মহাশ্বেতা দেবীর লেখা নিজের নামে ছাপিয়ে কয়েক লক্ষ না কোটি কামিয়েছি , সেই আমাকে দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলাগড়ের বিধায়ক বানিয়েছেন।
আমি যদি এই তাহলে দিদি বা কেমন মানুষ ? তিনি আমার বিষয়ে কোন খোঁজ খবর নিলেন না ? আর এই দলটি বা কেমন ? যারা এমন একটা চোর ছ্যাচোরকে দলের সঙ্গে যুক্ত করলেন? তাহলে যে বিরোধীরা বলে ‘চোর চোর চোর চোর- তৃনমূলের সবাই চোর’ ! সেটা কি সত্যি? চোর ছাড়া দলে আর কোনও লোক নেই?
এর সাথে তার কটাক্ষ, সেই যে- বলাগড়ের ফুলন দেবী ! যে সাথে কুড়ি পঁচিশজন সার্ফ শুটার নিয়ে ঘোরে, যে আমাকে মহিপাল পুরে জনসভা করে মাটিতে পুঁতে দেবে বলেছে ! হয় সে আমাকে সত্যি সত্যিই পুঁতে দেবে, আর তা না হলে আমি তাকে তার রাজনৈতিক জীবন থেকে রিটায়ার্ড করিয়ে দেব।
দেখবো তাঁর কোলকাতার ‘বাবু’ তাঁকে কি ভাবে বাঁচায়! আর হ্যাঁ, যে স্কুলে কোনও পদ ছিলো না। কোলকাতার বাবুর সহায়তায় সেখানে একটা পদ সৃষ্টি করে ১৭ সালে চাকরিতে যোগ দেয়, সে যে দীর্ঘ চার পাঁচ বছর একজন শিক্ষিকা হয়ে , একদিন ও ডিউটি না করে- কেমন করে মাইনে পেল সেটাও অভিজিত গঙ্গোপাধায়ের কাছে থেকে আমি জেনে নেবো ।
আমিও দেখতে চাই তার কতো ক্ষমতা। পথে আমি নেমে পড়েছি, পারলে এখন কাজ না করে মাইনে নিয়ে দেখাক তো দেখি ! তাহলে তাঁর যা হবার সে তো হবে স্কুল কতৃপক্ষকেও আমি ছাড়বো না।আইন কানুন সব কিছুর চেয়ে বড় মানুষের শক্তি । মানুষ নিয়ে পথে নামবো এবার।