বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে আর পাওয়া যাবে না ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগের বেশি দামের ওষুধ (medicine)। বদলে অপেক্ষাকৃত কম দামের ওষুধ দেবে রাজ্য, এমনটা জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন মাথায় চিন্তার হাত রোগীর পরিবারদের, তেমনই অন্যদিকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের জন্য বছরে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। তবে তার মধ্যে বিশেষ পাঁচটি ওষুধের জন্য বছরে খরচ হয় ৬০ কোটি টাকা। তবে সরকাররে এই সিদ্ধান্তের ফলে সাশ্রয় হবে মাত্র ১২ কোটি টাকা। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পারছে না একাংশ।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ক্যান্সারের ওষুধ সিসপ্লাটিন, এটোপোসাইড, সাইক্লোফসফামাইড, এনোক্সাপারিন, হাইড্রক্সিউরিয়া এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ লিনাগ্লিপটিন ও ভিলডাগ্লিপটিন এবার থেকে বিনামূল্যে আর পাওয়া যাবে না সরকারী হাসপাতাল থেকে। এর পরিবর্তে থাকবে, এই রোগের কম দামের ওষুধ। সূত্রের খবর, খরচে রাশ টানতে এমন সিদ্ধান্ত সরকারের।
সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিলেই, তা মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না রোগীর পরিবারের পক্ষে। বিশেষত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া রোগীদের পক্ষে এবার থেকে এই দামের ওষুধ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়বে। ‘রাজ্যের ৩৫ হাজার ক্লাব দুর্গাপুজোয় বছর বছর অনুদান পেলেও, ক্যান্সারের রোগী হাসপাতাল থেকে ওষুধ পাবে না কেন?’ এমন প্রশ্নও উঠে আসছে।
তবে এবিষয়ে সাংসদ চিকিৎসক ডা. শান্তনু সেন জানান, ‘মেডিসিনের তালিকা থেকে কিছু মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইচ্ছাকৃতভাবেই একই কমপোজিশনের দামী ব্র্যান্ডের ওষুধ লিখে দেন। যাতে করে রোগীর পরিজনরা সমস্যায় পড়েন। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রাইভেটে অনেক চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন করিয়ে সেগুলো হাসপাতালে বিনামূল্যে আনতে বলেন। সেসব কারণের জন্যই এমন পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে’।