আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথে তালিবানের এই কুখ্যাত নেতা, ৮ বছর ছিল জেল বন্দি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালিবানদের দখলে যাওয়ার পরই দেশের রাষ্ট্রপতি সহ বড়বড় আমলারা ভিন দেশে চলে যান। আমেরিকা ২০ বছর পর্যন্ত আফগানিস্তানে ছিল, কিন্তু তাঁদের সরে যাওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই তালিবান সেখানে পৌঁছে যায়, যেখান থেকে তাঁরা এসেছিল। মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তান তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।

আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের জেল থেকে ছাড়া পাওয়া তালিবানি কম্যান্ডার আবদুল গনি বরাদর (Abdul Gani Baradar) আপাতত গোটা বিশ্বের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। বরাদর আফগানিস্তানে ২০ বছর ধরে জারি যুদ্ধের বিজয়ী হিসেবে উঠে এসেছে। আপাতত সে তালিবানের রাজনৈতিক প্রধান এবং সবথেকে বড় পোস্টার বয়।

১৯৬৮ সালে উরুজগানে জন্মানো বরাদর ১৯৮০-র দশকে সোভিয়েত সঙ্ঘের বিরুদ্ধে আফগান মুজাহিদ্দিন লড়াই লড়েছিল। ১৯৯২ সালে রাশিয়াকে তাড়ানোর পর আর দেশে প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠনের যুদ্ধের মধ্যে বরাদর নিজের প্রাক্তন কম্যান্ডার তথা বোনের জামাই মহম্মদ উমরের সঙ্গে কান্দাহারে একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেছিল। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বরাদরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, বরাদর আর তার কম্যান্ডার দুজনে মিলে তালিবানের গঠন করেছিল।

২০১০ সালে বরাদরকে পাকিস্তানের করাচী থেকে আমেরিকা-পাকিস্তান সংযুক্ত অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১২ সালের শেষের দিকে বরাদরকে প্রায় সবাই ভুলেই গিয়েছিল। তাঁর নাম তালিবানি কয়দিদের তালিকায় সবথেকে উপরে ছিল, যাকে শান্তি বার্তা ছড়াতে আফগানিস্তান মুক্ত করাতে চেয়েছিল।

দ্য গার্ডিয়ানের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বরাদরকে জয়ের প্রধান রণনীতিকার বলা হয়েছে। বরাদর পাঁচ বছর তালিবানি শাসনে প্রশাসনিক আর সৈন্য ভূমিকা পালন করেছিল। তালিবানের ২০ বছরের নির্বাসনের সময়কালে বরাদর শক্তিশালী সেনা আর মাইক্রো পলিটিক্স কন্ট্রোলার হওয়ার খ্যাতি অর্জন করে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০১৮ সালে আমেরিকার মনোভাব বদলানোর কারণে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আর আফগান দূত খ্বলিলজাদ পাকিস্তানিদের বরাদরকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলে, কাতারে চলা আলোচনাকে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, আমেরিকা ভেবেছিল যে, বরাদর ক্ষমতা ভাগাভাগি বা হস্তান্তরে বড় ভূমিকা পালন করবে।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর