বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্গণনার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আর ওনার পরই তৃণমূলের আরও চারজন প্রার্থী একই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। ওই চারজন প্রার্থী হলেন, পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী সংগ্রাম কুমার দলুই, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী রানী সরকার, পুরুলিয়ার বলরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো এবং হুগলির গোঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদার হাইকোর্টে মামলা করে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুনর্গণনা নিয়ে তৃণমূল তৎপর হওয়ার পর বিজেপিও এবার ময়দানে নামতে চলেছে। বিজেপির সূত্রের খবর কমপক্ষে ৫০টি আসনে পুনরায় গণনার আবেদন জানাতে পারে তাঁরা। তবে সেই কোন কোন আসন সেগুলো জানা যায়নি। তৃণমূলের মামলার পাল্টা বিজেপি মামলায় রাজ্যে নতুন করে সংঘাতের আবহ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে
বিজেপি বারবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হওয়ার তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ করে বলেছিল যে, বিজেপি পরাজয় স্বীকার করতে পারছে না বলেই এরকম মিথ্যা অভিযোগ করছে। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাওয়ার পর সেই প্রশ্নই তাঁদের কাছেই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে।
যদিও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে যাওয়া নিয়ে কোনও বিরোধিতা করেনি বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দাবি তিনি আদালতে যেতেই পারেন সেটা ওনার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে তিনি যে হার স্বীকার করে নিতে পারছেন না, সেটা ওনার এই পদক্ষেপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আরেকদিকে, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আদালতে যেতে পারেন উনি, কিন্তু রায় সেই একই থাকবে।