বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মেয়র ফিরহাদের (Firhad Hakim) মুখে ভিন্নসুর! সাংবাদিকদের সামনে মন্ত্রী বললেন, ‘অনলি কর্পোরেশন’। এদিন শুক্রবারের বদলে শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান হয় কলকাতা পুরসভায়। সেখানেই সাংবাদিকরা তাকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই মুখে কুলুপ আটেন ফিরহাদ।
মেয়রের (Mayor) মুখে ‘অনলি কর্পোরেশন’ শব্দ শুনে সাংবাদিকদের প্রশ্ন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে তার কাছে কোনও বার্তা এসেছে? সেই প্রশ্ন শেষ করতে না করতেই সকলকে থামিতে ফিরহাদ রবীন্দ্রনাথের বাণী আওড়ে ফিরহাদ বলে উঠলেন, “কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজি, বাঁশি সঙ্গীতহারা…।”
তবে কী বর্তমান সময়ে দলে কোনোভাবে কোণঠাসা হচ্ছেন ফিরহাদ? এই প্রশ্নই যখন সকলের মনে তখন তিনি বললেন, “দলের একটা শৃঙ্খলা আছে। মিডিয়ায় অন্যান্য বিষয় নিয়ে বলার জন্য মুখপাত্ররা আছেন। আমরা বলব কেন?” শনিবার ফিরহাদের করা একের পর এক মন্তব্য ঘিরে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন নিজের কথায় কার্যত স্পষ্টভাবে ফিরহাদ বুঝিয়ে দিলেন পুরসভা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া তিনি আর কোনও প্রশ্নের উত্তর দেবেন না। প্রসঙ্গত, শুক্রবার কালীঘাটে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক। সেই বৈঠকের মাঝেই হঠাৎ ফিরহাদের ওপর বেজায় চটেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে দলের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎই আলোচনা থামিয়ে মাঝেই ববির উদ্দেশে বলেন, ‘ববি, তুই বেশি কথা বলছিস। কর্পোরেশন নিয়ে বলবি। তার বাইরে কোনও বিষয়ে তোকে কথা বলতে হবে না। বলার আগে আমায় জিজ্ঞেস করে নিবি। এটা যেন মনে থাকে!’
সম্প্রতি রাজ্যের ডিএ আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে করা ফিরহাদের একাধিক মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পাশাপাশি, দিন দুয়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেছিলেন, “এই পার্থ দাকে আমি চিনি না…।” ফিরহাদের করা একের পর এক মন্তব্যের দরুন তৃণমূলের ভালোর চাইতে খারাপই বেশি হয়েছে বলে মত অনেকের। বিরোধীরাও ফিরহাদের করা মন্তব্য নিয়ে ময়দানে নামে। এরপরই দলের বৈঠকে ফিরহাদের মুখে কার্যত লাগাম দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেকারণেই মেয়রের গলায় এদিন অভিমানের সুর? রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন।