বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে বারংবার কটাক্ষ করতে গিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা বিদ্ধ হতে হয়েছে প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনকে। কার্যত বারবারই ব্যর্থ হয়েছে তার ভবিষ্যৎ বাণী। যার জেরে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, ভন সব কথা আদৌ বুঝেশুনে বলেন তো? এমনকি প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিন বৃষ্টির জন্য যখন ভেস্তে যায়, তখনও ভন বলেছিলেন একটুর জন্য বেঁচে গেল ভারত। যদিও প্রকৃত অর্থে চাপে যে ইংল্যান্ড ছিল তা বলাই বাহুল্য।
দ্বিতীয় টেস্টে সে কথা প্রমাণ করে দেখিয়েছে ভারতীয় দল। লর্ডস টেস্ট ১৫১ রানে জিতে নিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, চতুর্থ দিন রীতিমতো চাপে পরা সত্বেও ইংল্যান্ড বোলারদের সামনে ত্রাস হয়ে দাঁড়ান শামি-বুমরা জুটি। ৯০ রানের যে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তারা, তার জেরেই শেষ পর্যন্ত মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। এবার ভারতের সঙ্গে না পেরে কার্যত ইংল্যান্ডের কোচ এবং সিনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে মুখ খুললেন মাইকেল ভন।
নিজের ফেসবুক পোস্টে সরাসরি কোচ এবং দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের দায়ী করেন তিনি। তার মতে বুমরা এবং শামির বিরুদ্ধে যখন লাগাতার বাউন্সার করা হচ্ছিল এবং সেই রণনীতি ব্যর্থ হচ্ছিল তখন অন্য কিছু চেষ্টা করেননি কেন রুট? তিনি লেখেন, “সিলভারউড কেন কাউকে জলের বোতল হাতে মাঠে পাঠিয়ে রুটকে জিজ্ঞাসা করেননি যে, হচ্ছেটা কী? কেন পরিকল্পনা বদল করার পরামর্শ দেননি? আমি যখন কী করতে হবে বুঝে উঠতে পারতাম না, আমার মনে আছে ডানকান ফ্লেচার আমার সঙ্গে কী করতেন। দ্বিতীয় টেস্টে ওটাই ছিল বড় মুহূর্ত এবং ইংল্যান্ড সেখানেই মুঠো আলগা করেছে। এর জন্য সিলভারউডকেও দায় নিতে হবে।”
তার সরাসরি দাবি দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রাই রুটকে ডুবিয়েছেন। শুধু তাই নয়, লর্ডসের এই সময়টিকে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি। এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ইংল্যান্ড স্ট্র্যাটেজিতে বড় ভুল করেছিল। আর তাই ভন লেখেন, “দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে লাঞ্চের ২০ মিনিট আগে যা ঘটেছে, বহু বছরে ইংল্যান্ড ক্রিকেটে এর থেকে খারাপ কিছু আমি আর দেখিনি।”