খিচুড়িতে ‘শুঁয়োপোকা’! ‘মিড ডে মিল’ বিতর্কে তোলপাড় মালদহ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র

Published on:

Published on:

Mid day meal scam in west bengal

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কলমপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ফের একবার খাবারের গুণমান নিয়ে উঠল প্রশ্ন (Mid Day Meal)। শনিবার সকালে শিশু ও প্রসূতিদের জন্য রান্না করা খিচুড়ির থালায় দেখা যায় শুঁয়োপোকা, যা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উপস্থিত অভিভাবকরা।

এর আগেও খাবারে পোকা ও আরশোলার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে | Mid Day Meal Controversy

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলমপাড়া সেন্টারের দায়িত্বে থাকা কর্মী দীপ্তি ভট্টাচার্য বর্তমানে মালদহে থাকেন এবং শনিবার তিনি কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁর দাবি, স্বামীর চিকিৎসার কারণে ছুটিতে ছিলেন। তবে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, চাল-ডাল ভালোভাবে না ধোয়ার জন্য এই ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। এর আগেও খাবারে পোকা ও আরশোলার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ।

এই ঘটনার খবর পেয়ে কেন্দ্রে পৌঁছান সুপারভাইজার রুমি মণ্ডল। কিন্তু তাঁকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নিয়মিত কর্মী কেন্দ্রে আসেন না, সরকারি মেনুও (Mid Day Meal) মানা হয় না। শিশু ও প্রসূতিদের স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে। তাঁরা দায়িত্বে গাফিলতি করা কর্মীর বদলি চান। সুপারভাইজার রুমি মণ্ডল জানান, এই ধরনের দূষিত খাবার শিশুদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি বিষয়টি লিখিতভাবে সিডিপিও-কে জানাবেন বলে জানান।

এদিন একই ব্লকের শান্তিপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, ওই কেন্দ্রের কর্মী মুনি কুন্তলা সাহা সরকারি ভবন না থাকায় নিজ বাড়ি, মহেন্দ্রপুর থেকে কেন্দ্র চালাচ্ছেন। ফলে শিশুরা রাজ্য সড়ক পার হয়ে কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছে, যা বিপজ্জনক। এ ছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রে সময়মতো তালা খোলা হয় না, কখনও মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার কেউ দেরি করে এলে তাদের সন্তানকে খাবার (Mid Day Meal) দেওয়া হয় না।

Mid day meal scam in west bengal

আরও পড়ুনঃ আরজি করের পর বাঁকুড়া! থ্রেট কালচারের অভিযোগে উত্তাল কলেজ, ঘেরাও অধ্যক্ষ-সুপার

এই বিষয়ে কর্মী মুনি কুন্তলার বক্তব্য, শান্তিপাড়ায় সরকারি ভবন না থাকায় মহেন্দ্রপুরে নিজের বাড়ি থেকেই রান্না ও পরিষেবা চালাতে হচ্ছে। খাবার (Mid Day Meal) যথাযথভাবে দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর দাবি। কিছু অভিভাবক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল অভিযোগ করছেন বলেও তিনি জানান। এই সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে ব্লকের সিডিপিও আবদুস সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি এবং পাঠানো বার্তার উত্তরও দেননি।