বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দালালের খপ্পরে পড়লে যে কি কান্ড হয় তা কারও অজানা নয়। ধনীকেও মুহূর্তে সর্বস্বান্ত করে পথের ভিখারী বানিয়ে দিতে পারে তারা। বিবাহকে কেন্দ্র করে এবার এমনই দালাল চক্রের হদিশ মিলল উত্তরপ্রদেশে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাবা এলাকায়। এলাকার বাসিন্দা শত্রুঘ্ন সিংয়ের বিবাহকে কেন্দ্র করে ঘটে এই ভয়ঙ্কর প্রতারণার ঘটনা।
জানা গিয়েছে গ্রামেরই দুই দালাল প্রথমে তাকে একজন কুড়ি বছর বয়সী মেয়ের ছবি দেখায়। তার সঙ্গে বিবাহের নাম করে ৩৫ হাজার টাকাও নেওয়া হয়। এরপর কালিবাহন মন্দিরে বিবাহের জন্য ডেকে পাঠানো হয় শত্রুঘ্নকে। কিন্তু বরবেশি শত্রুঘ্ন হঠাৎই আবিষ্কার করে তার সাথে যে কুড়ি বছর বয়সী কন্যার বিবাহ হওয়ার কথা সে বেপাত্তা। শত্রুঘ্নর মা দেখেন যার সাথে দালালরা তার ছেলের বিয়ে দিতে চাইছেন তার বয়স অন্তত ৪৫। শুধু তাই নয় জানা যায়, সে দুই সন্তানের মা।
এরপর স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা পুলিশের কাছে জানানোর হুমকি দেয় শত্রুঘ্ন। কিন্তু তখনই তার ওপর চড়াও হতে শুরু করে দালালরা। লাঠি নিয়ে তাকে তাড়াও করা হয়। কোনমতে সেখান থেকে পালিয়ে এসে ইটাবা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করে সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শত্রুঘ্নকে এর আগে মেয়ে দেখানোর নাম করে নীলকন্ঠ মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি কুড়ি বছরের মেয়ের সাথে পরিচয়ও করানো হয় তার। বিবাহের রীতি হিসেবে তার হাতে হাজার টাকা তুলে দিয়েছিল যুবক।
কিন্তু মণ্ডপে এসে দেখা যায়, সেই কনের বদলে বসানো হয়েছে ৪৫ বছরের এই মহিলাকে। প্রথমটাই ঘটনা দেখে রীতিমত তাজ্জব হয়ে গিয়েছিল পুলিশও। তবে পুরো ঘটনা বিস্তারিত জানার পর ইটাবার এসপি কপিল দেব সিং জানিয়েছেন এই ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করবে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তের মায়ের দাবি, তাদের সাথে চরম প্রতারণা করা হয়েছে। জোর করে তার ছেলের সঙ্গে মধ্যবয়স্কা এক মহিলার বিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করেছে দালালরা।