বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর থেকে শিরোনামে রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর জমানায় হাসপাতালে হওয়া একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে এবার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল (Midnapore Medical College and Hospital)।
মেডিক্যাল কলেজে (Midnapore Medical College and Hospital) কী করতেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ছাত্রনেতা?
আরজি কর ঘটনার পর থেকে রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজের ‘অন্দরের কাহিনী’ ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি সাগর দত্ত হাসপাতালে ‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রনেতা মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকদের (Female Junior Doctors) আইটেম গানে নাচ করতে বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠল।
- ছাত্রনেতার ‘কীর্তি’ ফাঁস হতেই শোরগোল!
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর টিএমসিপি (TMCP) ইউনিটের এক প্রভাবশালী সদস্য। তাঁর এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধেই মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের তাঁরা কী করতে বাধ্য করতেন সেকথা ফাঁস হতেই কার্যত মেদিনীপুর জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘উইলফুল রেপ…’! আরজি কর কাণ্ড ঘিরে ফের বিতর্ক, FIR-এর কাগজ হাতে আসতেই তোলপাড়!
শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়েছে হাসপাতাল (Midnapore Medical College and Hospital) কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার থেকে মেডিক্যাল চত্বরে তাঁর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ উঠেছে সেগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এরপরেই মেডিক্যাল কলেজের পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়েছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর এতটাই প্রভাবশালী যে তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসকরাও খুব একটা মুখ খুলতে চান না। এদিনও তাঁর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Midnapore Medical College and Hospital) অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী। তবে মেডিক্যাল চত্বরে তাঁর প্রবেশের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু চিকিৎসা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তারাপদ ঘোষ।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সুন্দরী মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকদের বেছে বেছে আইটেম গানে নাচতে বাধ্য করা হতো। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত ছাত্রনেতা মুস্তাফিজুর নাকি এতটাই ক্ষমতাশালী যে তাঁর ইশারায় ছাত্রছাত্রীদের পাস, ফেলও ঠিক করা হতো। এবার এই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধেই মহিলা চিকিৎসকদের র্যাগিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আপাতত সেদিকেই নজর সকলের।