বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের তারকা সাংসদ। টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক জগতেও মিমি চক্রবর্তী বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। এবার রাজনৈতিক রঙ লাগল তাঁর মামাবাড়িতেও। মিমির তিন মামিই দাঁড়িয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে। কিন্তু তিন আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দলের হয়ে।
কর্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা হলেও মিমির আসল বাড়ি জলপাইগুড়িতে। সেখানকার পুরাতন পাণ্ডাপাড়ায় অভিনেত্রীর মামাবাড়ি। তিন মামা মামি মিলে একটাই যৌথ পরিবার। একসঙ্গে রান্নাবান্না, থাকা খাওয়া। কিন্তু বাড়ির অন্দরেই যে এমন রাজনৈতিক রেষারেষি রয়েছে তা কেউ ভাবতেও পারবে না।
মিমির বড় মামি কান্তা চক্রবর্তী কংগ্রেসের প্রার্থী। সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়েছেন মেজ মামি পর্ণা নাগ চক্রবর্তী আর ছোট জন পুনম চক্রবর্তী মিমির দলে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন পান্ডাপাড়ার ১৭/১৫৫ আসনে প্রার্থী হয়েছেন তিন জনে।
ইতিমধ্যেই তিন মামিই প্রচারে নেমে পড়েছেন কোমর বেঁধে। একই বাড়ির তিন বউ তিনটি আলাদা দলের প্রার্থী, বিষয়টা নিয়ে চর্চা অব্যাহত এলাকায়। অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু রাজনৈতিক মঞ্চেই। বাড়িতে পা দিলেই ফের গলায় গলায় তিন বউ। ভোট রাজনীতির লড়াই যেন গার্হস্থ্য লড়াইয়ের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে নজর রয়েছে সবারই।
অবশ্য মিমির মামাবাড়িতে অনেকদিন থেকেই এমন ভিন্ন মতাদর্শের চল রয়েছে। কিন্তু তাতে কখনো ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদ বাঁধেনি। পরিবারের সদস্য রাম চক্রবর্তী তৃণমূল নেতা। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, রাজনীতির সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক গুলিয়ে ফেলেন না তাঁরা। বাইরে আলাদা আলাদা দলের হয়ে প্রচার করতেই পারেন তারা। কিন্তু বাড়ির ভেতরে সকলে একই পরিবারের সদস্য।
একই বক্তব্য বাড়ির তিন বউয়েরও। প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক চিন্তা বাইরে ফেলে আসছেন তাঁরা। তিন জনের মধ্যে যেকোনো একজন জিতলেই খুশি সকলে, এমনটাই বক্তব্য তাঁদের। অন্যদিকে তিন মামির কাণ্ডে খুশি মিমিও। দল ভুলে তিন জনকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাংসদ।