ভোটের দিন ছিঁড়ে দিয়েছিল ব্লাউজ, মাটি কামড়ে পড়ে থেকে টানা ৬ বার জয়ী বিজেপির মীনাদেবী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোটগণনার প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন একদিকে সজল ঘোষ (sajal ghosh) এবং অন্যদিকে মীনাদেবী পুরোহিত (Mina Devi Purohit)। ফলাফল শেষে দেখা যায়, ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হলেন মীনাদেবী পুরোহিত এবং ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে বিরোধীদের হারিয়ে জয়ী হলেন সজল ঘোষ।

জয়ের পর মীনাদেবী পুরোহিত বলেন, ‘কত সন্ত্রাস হয়েছে, মানুষ সবই দেখেছে। এই সন্ত্রাস না হলে, বিরোধীদের থেকে ৫ হাজার ভোটে জিততে পারতাম আমি, বিজেপিও বোর্ড গঠন করত। ২৫ বছর মানুষের সেব করায়, মানুষ দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। তাঁদের আশীর্বাদ এবং সেবার জোরেই আমি জিতেছি’।

1619552837 28metsks meena devi1 5c

একসময় কলকাতা কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র হয়েছিলেন মীনাদেবী পুরোহিত। পোস্তা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির হয়ে লড়াই করার ফলে জয়ের ডবল হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।

অন্যদিকে টিকিট পেতেই তাঁকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল রাজনীতির অন্দরে। আর বিজেপির দিক থেকে প্রথম মুখরক্ষাও করলেন সেই সজল ঘোষ (sajal ghosh)। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে বিরোধীদের হারিয়ে জয়ী হলেন সজল ঘোষ। সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ তাঁকে জয়ী বলে ঘোষণা করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

বিজেপির টিকিট হাতে পেয়েই তিনি বলেছিলেন, ‘এই লড়াই শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়। তৃণমূল এবং সেইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে লড়তে হবে আমাকে’। আর এবার কলকাতা পুরনির্বাচনে বিজেপির হয়ে বউনিও করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সজল ঘোষ। তোলাবাজি থেকে শুরু করে গোলমালে উস্কানি দেওয়া- তাঁর বিরুদ্ধে বাদ ছিল না কোন অভিযোগই। আর সেই সজল ঘোষকে প্রার্থী করার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয় ৫০ নম্বর ওয়ার্ড।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর