বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে দুর্নীতি প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করে বর্তমানে প্রতিবাদে নেমেছে বিরোধী দলগুলি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাধ্যমে নিজেদের পুরনো অবস্থান পুনরুত্থানের জন্য মরিয়া সিপিএম (Cpim)। সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ কর্মসূচির আয়োজন করতে দেখা গিয়েছে তাদের। আগামী ২০ শে সেপ্টেম্বর ধর্মতলায় (Dharmatala) একটি সভা করতে চলেছে DYFI সংগঠন। সেই প্রসঙ্গে ঘোষণা করার পাশাপাশি এদিন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)।
গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বামেদের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মীনাক্ষী। সেই সময় থেকেই শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এদিনও বাংলায় একাধিক দুর্নীতির পাশাপাশি বাম ছাত্রনেতা আনিস খানের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী। আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর ধর্মতলার সভা প্রসঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, “যদি সভা করার অনুমতি না দেওয়া হয়, তবে অনুমতি ছাড়াই আমরা সভা করব। মঞ্চ বাঁধতে কিংবা মাইক দেওয়ার অনুমতি প্রদান না করলেও আমাদের সভা আটকাবে না। বিনা মঞ্চ এবং কাঁধে মাইক নিয়েই আমরা মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেব।”
এরপরেই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং রাজ্য পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে মীনাক্ষী জানান, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওদের কর্মীরা যদি লাঠি নিয়ে আসে, তবে আমাদের ডান্ডা নিয়ে এগোতে হবে। লড়াই সমানে সমানে হবে। একই সঙ্গে আমি পুলিশদের সাবধান করতে চাই, আপনারা তৃণমূলের দালালি করার জন্য কমরেডদের গায়ে ভুল করেও হাত দেবেন না। আমাদের ছেলেরা যদি কিছু করে, তবে তার দায় নেব না।”
বর্ধমানের কার্জন গেটে সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যেও কটাক্ষ ছুড়ে দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, “স্বাধীনতা সংগ্রামে যাদের বিন্দুমাত্র ভূমিকা নেই, তারাই এ বছর ‘অমৃত মহোৎসব’ পালন করেছে। ওরা হিন্দু এবং মুসলমানের নামে দেশকে ভাগ করে দিতে চায়। দেশের পরিস্থিতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যেভাবে দেশের একের পর এক জিনিস বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, তারপরেও ওদের কোন লজ্জা নেই।”
উল্লেখ্য,বসম্প্রতি বাংলায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি থেকে কয়লা পাচার ও গরু পাচার সংক্রান্ত একাধিক মামলা সামনে উঠে এসেছে। সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে মীনাক্ষী বলেন, “রাজ্যে এখন টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হলে চাকরি পাওয়া যায়। তবে এটা অনুচিত। আমাদের এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। অনুব্রত মণ্ডল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য অনুব্রত কন্যার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে। দুর্নীতি এখনই বন্ধ হোক তবে শুধু সুকন্যা নয়, ও যে স্কুলে কাজ করতো, সেখানকার কর্তৃপক্ষ এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও শাস্তির দাবি জানাই।”