বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj) নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের (Minor Girl Death) অভিযোগে গত দু’দিন ধরে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। ক্ষোভে ফুসছে কালিয়াগঞ্জবাসী। অভিযোগ, যখন পুলিশ ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছে। সেই মুহূর্তের ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ঘিরে শুরু তুমুল তরজা। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় মহিলা কমিশনের থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী কারণে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হল তরুণীর দেহ? এবার তার ব্যাখ্যা দিলেন খোদ রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা (Minister Sashi Panja)।
শশী পাঁজা বলেন, ওই কিশোরীর মৃত্যুর সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে পুলিশ। যখন নাবালিকার দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তখন কারও উসকানিতে কিছুকিছু মানুষ দেহটি নিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছিল। ধস্তাধস্তির পরিবেশ তৈরি করা হয়। মন্ত্রীর আরও দাবি, সঠিক সময় দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে পাশাপাশি ময়নাতদন্তের পুরো প্রক্রিয়ায় ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তরুণী মৃত্যুর পরই শাসকদলের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে বিরোধী গেরুয়া শিবির। সেই নিয়ে এদিন
বিজেপিও একহাত নেন শশী পাঁজা। বিজেপির নেতা-কর্মীরা কেন সেখানে ভীড় করেছিলেন সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘বাড়ির লোকের সঙ্গে নিশ্চয়ই সবাই দেখা করবেন, তাদের কথা শুনবেন। কিন্তু বিজেপি সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছিল।’
গেরুয়া শিবির ওই ‘মৃত্যু নিয়ে শকুনের রাজনীতি’ করছে বলেও অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী। বলেন, ‘বিজেপি আজ খুব অন্যায় করেছে। মৃতদেহ নিয়ে তারা রাজনীতি করেছে। স্থানীয় নন, এমন বিধায়কদের নিয়ে আসা হয়েছে।’ মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলেন এদিন জানান শশী পাঁজা। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় ও পকসো এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানিয়ে রাখি, নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জের একাংশে আগামী ৭ দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে, আজই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদলের।