বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য বাসীকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে একাধিক জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচি চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। রাজ্যের মহিলাদের পাশাপাশি বয়স্ক মানুষদের জন্য এমনকি পড়ুয়াদের জন্যও চালু রয়েছে একাধিক সরকারী প্রকল্প। অর্থের অভাবে কোন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী যাতে পড়াশোনায় পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য ইতিমধ্যে একাধিক সরকারি প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
পড়ুয়াদের জন্য আরও এক নতুন প্রকল্প চালু করল রাজ্য সরকার (Mamata Banerjee)
পড়ুয়াদের জামা-জুতো-সাইকেল দেওয়ার পাশাপাশি ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওত্তায় দেওয়া হয়ে থাকে ট্যাব কেনার টাকাও। তবে আজকের এই ডিজিটাল দুনিয়ার যুগে পড়াশুনার প্রতি পড়ুয়ারা যাতে আগ্রহ হারিয়ে না ফেলে তার জন্যই এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) তরফ থেকে পড়ুয়াদের জন্য আনা হয়েছে বিনামূল্যের আরও একটি প্রকল্প।
জানা যাচ্ছে, এবার নবম থেকে দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন। এমনিতে এই চারটে বছর পড়াশোনার ব্যাপক চাপ থাকে পড়ুয়াদের। তাই এই বছরগুলিতে পড়ুয়াদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় রেফারেন্স বই অর্থাৎ সহায়িকা বইয়েরও। তবে এই বইগুলির দাম নেহাত কম নয়। তাছাড়া আমাদের রাজ্যে এমন অনেক গরিব ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন যাদের পক্ষে সহায়িকা বই কেনার টাকা জোগাড় করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তাই এবার সেই সমস্যা দূর করতেই উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। তার জন্যই এবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বিনামূল্যে সহায়িকা বই প্রদান করবে রাজ্য। মঙ্গলবার বারাসাতে বইমেলার উদ্বোধন করতে এসে এই নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। তিনি ছাড়াও এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বারাসাতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, এবং পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: শীতেও মুখ ভার আকাশের, এবার ঝমঝমিয়ে নামবে, বৃষ্টি নিয়ে বড় আপডেট দিল আবহাওয়া দপ্তর
এদিনের এই মেলা থেকেই রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী পড়ুয়াদের বিনামূল্যে সহায়িকা বই দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই রাজ্যস্তরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। এতদিন রাজ্যের পড়ুয়াদের একাধিক সরকারি প্রকল্পের টাকার দেওয়া হলেও বিনামূল্যে সহায়িকা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না। তাই রাজ্য সরকারের এই নতুন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন অনেকেই।
এদিন বইমেলায় এসে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘উন্নত মানের পড়াশোনার জন্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা যদি সহায়িকা বইয়ের জন্য লাইব্রেরীতে আবেদন করেন তাহলে তাদের বিনামূল্যে সেই সমস্ত বই দেওয়া হবে।’ তবে প্রথম পর্যায়ে সমস্ত স্কুলকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তর।