বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে যেভাবে একের পর এক গণধর্ষণের মামলা উঠে আসছে, তা বর্তমানে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁসখালি থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নাবালিকাদের যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, তাতে রাজ্যে নারী নিরাপত্তার বিষয়টি ক্রমশই তলানীতে গিয়ে ঠেকছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর মাঝেই এবার শান্তিনিকেতনে নতুন করে এক নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ উঠে এসেছে। বর্তমানে পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে তদন্তে নামলেও পরিস্থিতি এখনো অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে।
সূত্রের খবর, শান্তিনিকেতনে চড়ক মেলা দেখার জন্য তার বান্ধবীর বাড়িতে এসে হাজির হয় এক নাবালিকা কিশোরী। কিন্তু সেই মেলার অনুষ্ঠানে তার জন্য যে এক ভয়ংকর ঘটনা অপেক্ষা করেছিলো, তা কোনোক্রমেই টের পায়নি সে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শান্তিনিকেতন থানা এলাকা সংলগ্ন চড়ক মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য আসে সেই কিশোরীটি এবং সেখানেই চার পাঁচজন যুবক মিলে তাকে জোর করে মেলা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর নদীর ধারে এক অঞ্চলে নিয়ে গিয়ে তার ওপর গণধর্ষণ চালানো হয় বলে অভিযোগ।
বর্তমানে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নাবালিকাকে ভর্তি করানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরে দ্রুত তদন্তে নেমেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। এই খবর সামনে আসার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি এবং স্বভাবতই আবারও এক নাবালিকা ধর্ষণের কারণে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসীরা। এ প্রসঙ্গে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা নাবালিকা ধর্ষণের ব্যাপারে জানতে পেরেছি। বর্তমানে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, ওই নাবালিকাকে 4-5 জন ব্যক্তি মিলে জোর করে মেলা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ চালায়। বর্তমানে মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট হচ্ছে, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি হবে।”