বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রত্যেকেই নিজেই আয়ের কিছু অংশ সঞ্চয় করেন। পাশাপাশি এমন কিছু জায়গায় বিনিয়োগ করতে চান যেখানে টাকা নিরাপদ থাকবে। এবং ভালো রিটার্ন পাবে। কিন্তু অবসর গ্রহণের পর, সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নিয়মিত আয়ের প্রয়োজন। চাকরিতে যদি সঠিক পেনশন না থাকে, তাহলে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারেন আপনিও। এছাড়াও , অবসর পরবর্তী পরিকল্পনা আগে থেকেই করা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য, পোস্ট অফিস মাসিক আয় প্রকল্প (MIS) করা একান্ত প্রয়োজন। এই আয় প্রকল্প (MIS) প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করার সুযোগ দেয়।
আয় প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন (MIS Scheme)
পোস্ট অফিসে প্রতিটি বয়স ও প্রতিটি শ্রেণীর জন্য সঞ্চয় করার প্রকল্প আছে। এই প্রকল্প কেবলমাত্র ভালো রিটানই দেবে না। পাশাপাশি নিরাপত্তাও দেবে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত হয়ে বিনিয়োগের বিকল্প হয়ে ওঠে পোস্ট অফিস। পোস্ট অফিস মাসিক আয় প্রকল্পের কথা বলতে গেলে, প্রতি মাসে নির্দিষ্ট আয় দেয়। মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে এতে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
খোলার নিয়মাবলী:
১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনও ব্যক্তি খুলতে পারেন অ্যাকাউন্ট।
ন্যূনতম ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করে অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে।
যৌথ অ্যাকাউন্ট (সর্বোচ্চ তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক), একজন নাবালক এবং একজন অসুস্থ ব্যক্তির অভিভাবক হিসেবে।
এছাড়াও, পোস্ট অফিসে (Post Office) রয়েছে সিনিয়র সিটিজেন (Senior Citizen) সেভিংস স্কিম। যারা প্রবীণ ব্যক্তি (Senior Citizen) তারা অতি সহজে এখান থেকে টাকা পেতে পারেন। অবসরের পর এই টাকা অনেক বেশি কার্যকরী হতে পারে আপনার জীবনে। এখানে যদি টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে পোস্ট অফিসে সেই টাকা সুরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি সেখান থেকে ভাল আয় হবে প্রতিটি মাসে।
উল্লেখ্য, পোস্ট অফিসের (Post Office) বিনিয়োগ এর উপরে ৭.৪% সুদ রয়েছে। যার ফলে পোস্ট অফিসের এই স্কিমটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়াও, সরকার POMIS-এ করা বিনিয়োগের উপর ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে। এই সুদ ১ এপ্রিল ২০২৩ থেকে দেওয়া হচ্ছে। এই সরকারি প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর এবং অ্যাকাউন্ট খোলার পর এক বছর পর্যন্ত এটি থেকে টাকা তোলা যাবে না। আর এই স্কিমের সবচেয়ে বিশেষ দিক হল এতে বিনিয়োগ করলে মাসিক আয় নিয়ে চিন্তার অবসান হয়।
পোস্ট অফিসের জমা এবং সুদের নিয়ম গুলো নিম্নলিখিত
পোস্ট অফিসে (Post Office) সিঙ্গেল অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক ৯ লক্ষ টাকা জমা করা যেতে পারে। পাশাপাশি জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক ১৫ লক্ষ টাকা জমা করা যেতে পারে। এছাড়াও, অ্যাকাউন্ট খোলার এক মাস পর থেকে এই সুদ পরিশোধ শুরু হয়ে মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত চলবে।
সহজে কিভাবে পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
পোস্ট অফিস (Post Office) থেকে অ্যাকাউন্ট (Account) খোলার ফর্ম নেন। পাশাপাশি আপনার নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে (Post Office) গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ POMIS অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন করতে পারেন। এবার পোস্ট অফিসে স্কিম প্রাপ্ত বিনিয়োগের সুদ আপনার প্রয়োজনের অনুসারে মাসিক , তিন মাস অন্তর অথবা বার্ষিক ভিত্তিতে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রাজ্যে! চলন্ত ট্রেন গিয়ে ধাক্কা মারল স্কুল বাসে, মৃত একাধিক ছাত্র
মেয়াদপূর্তির আগে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলে ক্ষতি
এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলার ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে অ্যাকাউন্টধারক যদি অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেন, তাহলে লোকসান হতে পারে তার। প্রকৃতপক্ষে, মূল পরিমাণের ২% এর সমান পরিমাণ কেটে নেওয়ার পর, অবশিষ্ট পরিমাণ ফেরত দেওয়া হবে তাকে। আর যদি, অ্যাকাউন্টটি খোলার ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে ১% এর সমান পরিমাণ কেটে নেওয়ার পর, অবশিষ্ট পরিমাণ অ্যাকাউন্টধারকে ফেরত দেওয়া হবে।