বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের দুনিয়ায় মিঠাইয়ের (mithai) জয়যাত্রা অব্যাহত। টানা কয়েক মাস ধরে লাগাতার টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে আসছে এই সিরিয়াল। একান্নবর্তী পরিবারের জমাটি গল্প, চরিত্রের বুনন এবং অভিনেতা অভিনেত্রীদের সুন্দর অভিনয়ই এই সাফল্যের নেপথ্যের কারণ। শুধুমাত্র মূল চরিত্রে থাকা সিড মিঠাই নয়, পার্শ্বচরিত্রগুলিও একই রকম জনপ্রিয়তা পেয়ে আসছে দর্শকদের থেকে।
এমনি একটি চরিত্র হল এসিপি রুদ্র। সিদ্ধার্থের কলেজ জীবনের বন্ধু তিনি। বেশ অনেকদিন আগেই গল্পে এনট্রি হয়েছে তাঁর। তবে কয়েক সপ্তাহ হল তাঁর চরিত্রটি এক অন্য রকম মোড় নিয়েছে। শ্রী ও রাতুলের বিয়ে বাঁচাতে গিয়ে একটি প্রোজেক্ট করেছিল সিড। সেখানে অংশ নিয়েছিল মিঠাই, নীপা,রাজীব, নন্দা, স্যান্ডি এবং রুদ্র ওরফে রুডি।
কিন্তু প্রোজেক্টের পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিনয় করতে গিয়েই রুদ্রর প্রেমে পড়ে গিয়েছে নীপা। তার যাকে বলে প্রেমে একেবারে হাবুডুবু অবস্থা। প্রথমে প্রোজেক্টটা নিয়ে খুবই ভয়ে ছিল সে। কিন্তু কালো সানগ্লাস পরে হিরোর মতো রুদ্রকে রেস্তোরাঁয় এনট্রি নিতে দেখে অবাক নীপা। বয়সের পার্থক্য যতই হোক না কেন, রুদ্রদাকেই সে বিয়ে করবে, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নীপা।
এমনকি রুদ্রর নায়কোচিত হাবভাব দেখে এক মুহূর্তের জন্য হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল নীপাও। সেও বলে বসে উচ্ছে বাবুর থেকে রুদ্রদাকে বেশি হ্যান্ডসাম দেখতে। রুডির ক্যারিশ্মার ছাপ পড়েছে দর্শকদেথ মনেও। এই মিষ্টি পুলিস অফিসারের চরিত্রটির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে দর্শক মহলে। মোদক পরিবারের সঙ্গে যেভাবে মিশে গিয়েছে রুদ্র, মিঠাইকে নিজের বোনের জায়গায় বসিয়েছে সে।
প্রথমে নীপাকে আদিত্য আগরওয়ালের খপ্পর থেকে বাঁচিয়েছিল এসিপি রুদ্র। তখন থেকেই চরিত্রটির ভক্ত হয়ে গিয়েছিল দর্শকরা। আর এখন তো মোদক পরিবারের সমস্ত বিপদে আপদেই পাশে থাকে সে। সদ্য মিঠাই গ্রেফতার হওয়ার খবর পেতেই ছুটে এসেছে রুদ্র। এই চরিত্রে অভিনয় করছেন ফাহিম মির্জা। ছোটপর্দার বেশ পরিচিত মুখ তিনি।