বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বনাম ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party) দ্বন্দ্বে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। এহেন উত্তপ্ত আবহ মাঝেই বর্তমানে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জেলা সফরে বেরিয়েছেন বাংলার ‘ঘরের ছেলে’ তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ডায়লগের ফুলঝুরি দেখা গেলেও এবারে অনেকটাই সংযত মিঠুন। ফলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তবে কি পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছেন তিনি?
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার বুকে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়লাভের স্বপ্ন দেখিয়েছিল পদ্মফুল শিবির। উক্ত নির্বাচনের পূর্বে বিজেপির হয়ে প্রচারে বড়সড় ভূমিকা নেন বলিউড সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। শহর থেকে গ্রাম, প্রতিটি প্রান্তে একের পর এক ডায়লগে মাতিয়ে তুলেছিলেন তিনি। কখনো ‘এক ছোবলেই ছবি’, আবার কখনো ‘জাত গোখরো’-র মতো সংলাপে মেতে ওঠে বাংলা। তবে বর্তমানে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে সংযত বিজেপি নেতা।
এক্ষেত্রে মিঠুন চক্রবর্তীর সংযত থাকার কারণ খুঁজে বের করতে গেলে অতীতে ফিরে যেতে হয়। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের পূর্বে জনপ্রিয় ডায়লগের জন্য পরবর্তীতে মিঠুনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে শাসক দল। যদিও পরবর্তীতে বিজেপি নেতার আবেদনের ভিত্তিতে সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। তবে তা থেকে শিক্ষা নিয়েই বর্তমানে সংলাপ থেকে বেশ খানিক অংশে দূরে থাকছেন মিঠুন, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
এক্ষেত্রে ডায়লগে কেন সতর্ক, এ প্রশ্ন উঠতেই গতকাল মিঠুন বলেন, “ডায়লগ দিতে আসিনি। যখন সময় হবে, ঠিক দেব। আমি একজন অভিনেতা, তাই ডায়লগ দেওয়াটা স্বাভাবিক।” পরবর্তীতে বিজেপি নেতা আরও বলেন, “জেলায় জেলায় ঘুরছি। এখানে ডায়লগ দিতে আসিনি। তবে নিশ্চয়ই দেবো। ডায়লগ না দিলে খাব কি?”
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে মিঠুন চক্রবর্তীর উপর বড়সড় দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে জেলায় জেলায় ঘুরে কর্মসূচি করার পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভার তাঁকে দেওয়া হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই গতকাল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাম-রাম জোট প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মিঠুন।
তিনি বলেন, “বাংলায় সিপিএম ক্ষমতায় থাকার সময় সকল বিরোধী দলগুলি তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করেছিল। বিজেপির ক্ষমতা কম থাকলেও তারা সাহায্য করতে পিছপা হয়নি। তাই বর্তমানে তৃণমূলের মত একটি দলকে হারাতে গেলে সকলকে একসঙ্গে জোট করার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মতাদর্শে পার্থক্য থাকলেও একজোট হওয়াটা জরুরি।” ফলে সবমিলিয়ে ডায়লগে সংযত থাকলেও নেতৃত্বের দেওয়া দায়িত্ব পালনে যে তৎপর মিঠুন, তা বলাবাহুল্য।