ভারতের সম্পূর্ণভাবে সাক্ষর রাজ্যের তকমা পেল মিজোরাম, কীভাবে মিলল সাফল্য? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মিজোরাম (Mizoram) এখন ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ সাক্ষর রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার আইজলের মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা এই ঘোষণা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরীও। ULLAS (আন্ডারস্ট্যান্ডিং অফ লাইফলং লার্নিং ফর অল ইন সোসাইটি) উদ্যোগের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। জানা গিয়েছে মিজোরাম, শিক্ষা মন্ত্রকের ৯৫ শতাংশ বেঞ্চমার্ক অতিক্রম করেছে। এখন মিজোরামের সাক্ষরতার হার ৯৮.২ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে এই হার ছিল ৯১.৩৩ শতাংশ।

দেশের সম্পূর্ণভাবে সাক্ষর রাজ্যের তকমা পেল মিজোরাম (Mizoram):

এভাবেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করল মিজোরাম: এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সাফল্যের কৃতিত্ব NILP (নিউ ইন্ডিয়া লিটারেসি প্রোগ্রাম)-র মাধ্যমে সামনে এসেছে। NILP হল মানে নিউ ইন্ডিয়া লিটারেসি প্রোগ্রাম। এই কর্মসূচিতে ৩,০২৬ জন নিরক্ষর ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। যার মধ্যে ১,৬৯২ জন শিখতে প্রস্তুত ছিল। ২৯২ জন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকের একটি দল পড়ুয়াদের সাহায্য করেন। ওই শিক্ষকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ছাত্র, শিক্ষক এবং জ্ঞানী ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা মিজো সংস্কৃতির “Tlawmngaihna”-এর মূল্যবোধ অনুসরণ করেন। “Tlawmngaihna”-র অর্থ নিঃস্বার্থ সেবা এবং পরোপকার।

Mizoram becomes the india's first fully literate state.
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নতুন যুগের সূচনা”: এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা বলেন, “এই অর্জন শেষ নয়। বরং নতুন যুগের সূচনা। এখন আমাদের রাজ্য প্রাথমিক পড়া এবং লেখার পাশাপাশি ডিজিটাল, আর্থিক এবং উদ্যোক্তা দক্ষতা শেখাবে। এর মাধ্যমে সবাই সামগ্রিক শিক্ষা লাভ করতে পারবে। মিজোরামের (Mizoram) সাক্ষরতার যাত্রা অন্যান্য রাজ্যের জন্য একটি উদাহরণ। এটা দেখায় কতটা ভালোভাবে সমাজভিত্তিক শিক্ষা এবং সরকার একসাথে কাজ করতে পারে।”

আরও পড়ুন: খুলে গেল মুখোশ! যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানের হয়ে ভারতের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করেছিল চিন, প্রকাশ্যে রিপোর্ট

জানিয়ে রাখি, মিজোরাম (Mizoram) ১৯৮৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের ২৩ তম রাজ্যে পরিণত হয়। এই রাজ্যের আয়তন ২১,০৮১ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, রাজ্যের সাক্ষরতার হার ছিল ৯১.৩৩ শতাংশ। যা দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। ULLAS/NILP এই শক্তিশালী ভিত্তির ওপর বাস্তবায়িত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বাকি নিরক্ষর মানুষদের শিক্ষিত করা।

আরও পড়ুন: বলিউড অভিনেত্রীর কাছ থেকে “জাদু কি ঝাপ্পি” পেলেন বৈভব সূর্যবংশী! মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল ছবি

ULLAS/NILP কী: ULLAS/NILP বাস্তবায়নের পর, মিজোরাম (Mizoram) রাজ্য এখন ৯৮.২ শতাংশ সাক্ষরতার হার সহ সমগ্র দেশে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। ২৯২ জন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকের প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, ULLAS মূল্যায়ন অনুসারে, “মিজোরামকে একটি পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, মিজোরামের এই অর্জন অন্যান্য রাজ্যকেও অনুপ্রাণিত করবে। তারাও অনুরূপ কর্মসূচি চালিয়ে তাদের রাজ্যকে সাক্ষর করে তুলতে পারে। মিজোরাম দেখিয়েছে যে সরকার ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করলে যেকোনও কিছু সম্ভব। এটি একটি বিশাল অর্জন এবং সমগ্র দেশের জন্য গর্বের বিষয়।”

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X