বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যে গোরক্ষা এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে কথা উঠেছে উত্তর প্রদেশ এবং আসামে। বিশেষত উত্তরপ্রদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে যোগী সরকারকে। যদিও এই বিলকে জনবিস্ফোরণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় বলেই মনে করছে সরকার। উত্তর প্রদেশ এবং আসামের পর এবার ত্রিপুরাতেও জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং গোরক্ষা আইন প্রচলনের দাবিতে সরব হলেন বিধায়ক সুধাংশু দাস।
গোরক্ষা বিল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ত্রিপুরার ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুধাংশু বলেন, শুধু গরু পাচারই নয়, যেকোনো ধরনের পশু পাচার করাই চূড়ান্ত বেআইনি। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কোনরকম টলারেন্স না দেখানোর কথাই বলেছেন। সীমান্ত এলাকায় পাচার চক্র রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার মতে, গুরু হিন্দুধর্মে আমাদের কাছে মায়ের মত। সুতরাং তার সংরক্ষণের দরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের যেমন আগেই লাগু হয়েছে গো সুরক্ষা আইন। তেমন কিছুদিন আগেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও ‘গবাদি পশু সংরক্ষণ বিল’ এনেছেন। এবার ত্রিপুরাতেও পশু সংরক্ষণ আইন লাগু করার দাবি তুললেন সুধাংশু।
একইসঙ্গে জনবিস্ফোরণ নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। তার মতে এটি ভারতের কাছে একটি অভিশাপের মতো। তিনি বলেন, “অতিরিক্ত জন বিস্ফোরণ আমাদের দেশের কাছে একটা অভিশাপ। জন বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণে দেশে সুর্নিদিষ্ট আইন থাকা দরকার। এটা সম্ভব হলেই তবেই দেশে এই সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের ভৌগলিক পরিবেশের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েই যায়। সে দিকটা মাথায় রেখে প্রত্যেক রাজ্যের উচিৎ নিজের মতো করে পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে আইন প্রণয়ন করা।”