বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে করোনা (Corona) উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এরাজ্যেও। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়ে গিয়েছে আট হাজারের গণ্ডি। এমতাবস্থায় ভোটের বাংলায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ গুলি যে করোনার অন্যতম উৎসস্থল হয়ে উঠতে পারে, তা আগেই আন্দাজ করেছিল কমিশন ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেই মত রাজনৈতিক দলগুলিকে কঠোর ভাবে করোনা বিধি মানার আর্জি জানিয়েছিল কমিশন। তবে রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের তাতে থোড়ায় কেয়ার।
উদ্বেগ বুঝতে পেরে প্রথমেই বড় জমায়েতের (Election Campaign) সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে রাজ্যের বাম নেতৃত্বরা। রাজ্যের ঊর্ধ্বমুখী করোনার কথা মাথায় রেখে রাজ্যে তাঁর সবধরণের জন সমাবেশ বাতিল করেছেন রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। রবিবার টুইট করে নিজেই জানিয়েছিলেন সেকথা। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গে আমি আমার সব রাজনৈতিক প্রচার স্থগিত রাখছি।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘করোনার এহেন পরিস্থিতিতে বড় জন সমাবেশের ফল কি হতে পারে তা গভীর ভাবে ভেবে দেখার অনুরোধ করছি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে’।
তারপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) কলকাতায় তাঁর সমস্ত বড় সমাবেশ বাতিল করেন। এরপরই প্রশ্ন উঠতে থাকে গেরুয়া শিবিরের স্টার ক্যাম্পেনার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন জনসভা নিয়ে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল তবে কি এবার বঙ্গ ভোটে নিজের সভা সমাবেশ থেকে সরে দাঁড়াবেন প্রধানমন্ত্রী ? এনিয়ে জল্পনা দানা বাঁধতেই, এদিন মোদির সভা প্রসঙ্গে টুইট করে তা খোলসা করলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। তিনি জানান, বাংলায় মোদির কোনও জনসভা বাতিল হচ্ছে না, তা পূর্বসূচি মেনেই হবে।
कोरोना संक्रमण को देखते हुए प्रधानमंत्री कार्यालय से निर्देश प्राप्त हुए हैं, कि माननीय प्रधानमंत्री जी की सभाओं का स्वरूप बदला जाए। सोशल डिस्टेंसिंग का विशेष ध्यान रखा जाए।
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) April 19, 2021
তবে টুইটে তিনি লেখেন, ‘পিএমও-র নির্দেশ মেনে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সভায় কিছু বদল আনা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই সভার আয়োজন করা হবে। সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে যে, কোভিড বেঁধে মেনে সভা করা হবে, সংক্রমণ মুক্ত করেই মোদির সভায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে, থাকতে পারে LED স্ক্রিনও।