বাংলা হান্ট ডেস্ক: নির্বাচনের (Election) ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে (Social Media) কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party, BJP) অন্যান্য দলের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। এদিকে, আগামী বছর হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি।
এমন পরিস্থিতিতে আবারও প্রযুক্তির ভালোভাবে ব্যবহার শুরু করেছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ২০১৮-র মতো, গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সরকার এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের কর্মক্ষমতার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে NAMO অ্যাপে “জন মন সার্ভে” শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৬ সালে (নোটবন্দির ঠিক পরে) ও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য এবং উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনুরূপ সার্ভে পরিচালনা করেছিলেন। মূলত, মোদী এই অ্যাপের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন। বর্তমানে এই অ্যাপটির ২ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে।
আরও পড়ুন: সেরে রাখুন প্রয়োজনীয় কাজ, এই বছরের শেষ ১১ দিনের মধ্যে ৭ দিন বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক! দেখে নিন তালিকা
২০১৮ সালে এই অ্যাপে সার্ভে করেছিলেন মোদী: সরকারি সূত্রের মতে, ২০১৮ সালে তিনটি বৃহৎ হিন্দিভাষী রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পরে, একটি সমীক্ষার ফলস্বরূপ PM কিষান সমন নিধি (কৃষকদের আয়ের সহায়তা প্রদানের একটি প্রকল্প) সহ সাধারণ ক্যাটাগরির মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য সংরক্ষণ এবং অন্যান্য প্রচার শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমেই ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে EWS কোটা আইনের রূপ পায়। এই পদক্ষেপের পর জেনারেল ক্যাটাগরির মানুষদের বিজেপির প্রসঙ্গে ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন মানুষের! শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেনচালক পেলেন বিশেষ পুরস্কার
অ্যাপে প্রাপ্ত ফিডব্যাকের ভিত্তিতে প্রার্থীদের পরিবর্তন করা হয়: এই অ্যাপে পরিচালিত সার্ভে এবং NAMO অ্যাপের অন্যান্য ফিডব্যাকের ওপর ভিত্তি করে, বিজেপি ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো তার ৩৫ শতাংশ সাংসদ পরিবর্তন করে। অর্থাৎ, তখন ২৬৮ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৭৩ টি আসনে নতুন প্রার্থী সামনে আনা হয়। এখন, যেহেতু ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন কাছাকাছি রয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রী মোদী আবারও তার এই বিশেষ অস্ত্রটিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন।